অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে পশ্চিমাদের সতর্ক করল মস্কো

পশ্চিমা দেশগুলোর আশ্বাসে রাশিয়ার হামলা ঠেকিয়ে দেয়ার প্রত্যাশা করেছিল ইউক্রেন। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হতেই ন্যাটোর বাধানিষেধের কথা বলে নিজেদের গুটিয়ে রাখে সব দেশ। তবে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। মস্কো জানিয়েছে, এসব অস্ত্রবহর হামলার বৈধ লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। খবর রয়টার্স।

রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ

পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ থেকে সহায়তা পাওয়া অস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বিভিন্ন স্থানে রাশিয়ার সেনাকে রুখে দিচ্ছে। বিষয়টি রাশিয়ারও নজরে এসেছে। প্রথমে কিছু না বললেও এখন তারা বলছে, এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্র ও অস্ত্র সরবরাহের বহরকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানো হতে পারে।

গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করে, তারা ইউক্রেনকে আরও ২০ কোটি ডলারের অস্ত্র ও সরঞ্জাম পাঠাবে। মার্কিন অস্ত্রগুলোর মধ্যে থাকছে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্ট গান ও অন্যান্য মিসাইল। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের হাতে প্রায় ১২০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম তুলে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৪ সালে রাশিয়া কর্তৃক ক্রিমিয়া দখলের পর থেকেই কিয়েভকে অস্ত্রের জোগান দিচ্ছে ওয়াশিংটন।

মার্কিন অস্ত্রবহর

হোয়াইট হাউসকে সতর্ক করে ক্রেমলিন জানিয়েছে, তারা এবার ইউক্রেনে অস্ত্রবহনকারী কনভয়গুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালাবে। রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বলেন, আমরা আমেরিকাকে সতর্ক করে দিয়েছি, বিভিন্ন দেশ থেকে ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোর প্রক্রিয়াটি খুবই বিপজ্জনক। তাদের সতর্ক করা হয়েছে, অস্ত্র সরবরাহের এসব বহর রুশ হামলার বৈধ লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।

সমর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন এই অস্ত্রসাহায্য এখন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।