আপনি পড়ছেন

তালেবান নিয়ন্ত্রণ নেয়ার আগে যিনি আফগানিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয় সামলাতেন সেই খালিদ পায়েন্দা এখন ওয়াশিংটনে উবার ক্যাব চালান। সেখানে তিনি স্ত্রী ও চার সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। খবর ওয়াশিংটনপোস্ট।

khalid payendaখালিদ পায়েন্দা, তখন ও এখন

খালিদ পায়েন্দা তালেবানের পূর্বেকার আশরাফ ঘানির অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তবে ঘানি সরকারের পতনের কয়েকদিন আগেই অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। এখন তিনি জর্জটাউন ইউনিভার্সিটিতে প্রফেসর হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি ওয়াশিংটন ও তার আশপাশে উবার ক্যাব চালান। দুই কর্মক্ষেত্রের আয় দিয়ে সংসার চালিয়ে নিচ্ছেন সাবেক এই আফগান অর্থমন্ত্রী।

ওয়াশিংটন পোস্টকে খালিদ পায়েন্দা বলেন, লেবাননের একটি কোম্পানির অর্থ প্রদানে ব্যর্থতার জন্য তাকে দায়ী করা করেন আশরাফ ঘানি। সেই পরিস্থিতিতে ভীত হয়ে পড়েন তিনি। খালিদ আশঙ্কা করছিলেন, তাকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। ফলে তিনি দেশত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে তিনি পরিবারকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেন, এক সপ্তাহের মধ্যে তিনিও দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান।

uber in new yorkউবার

এভাবে তিনি ও তার পরিবার নিরাপদে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছালেও মাঝে মধ্যেই নিজেকে একেবারে শূন্য অনুভব করেন খালিদ। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে, আমার কোনো জায়গা নেই। আমি এখানকার নই এবং আমি সেখানকারও নই।

নিজেদের সমালোচনা করে খালিদ পায়েন্দা জানান, ১৫ আগস্ট তিনি টেলিভিশন থেকে এবং তারপর টুইটারে কাবুলের পতনের কথা জানতে পারেন। নিজেদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, আমরা যা তৈরি করেছি তা ছিল তাসের ঘর, যা দ্রুত ভেঙে পড়েছিল। এ তাসের ঘর তৈরি হয়েছিল দুর্নীতির ভিত্তির ওপর। আমাদের জন্য যখন সুযোগ ছিল উন্নয়ন করার তখনও আমাদের সরকারের কেউ কেউ চুরি করেছে, দুর্নীতি করেছে। আমরা আমাদের জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি।

খালিদ পায়েন্দা এর আগে কিশোরকালেও আফগানিস্তান ছেড়েছিলেন। ১৯৯২ সালে মাত্র ১১ বছর বয়সে, আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে তার পরিবার পাকিস্তানে চলে যায়। এক দশক পরে দেশে ফিরে তিনি আফগানিস্তানের প্রথম প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া তিনি ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এবং বিশ্বব্যাংকের জন্য কাজ করেছিলেন। ২০০৮ সালে ফুলব্রাইট স্কলারশিপে ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের জন্য প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে যান।

২০০৬ সালে তিনি উপ-অর্থমন্ত্রী হন এবং ২০১৯ সালে অস্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হন। ২০২০ সালে তিনি কাবুলে ফিরে আসেন ঘানির জন্য একটি স্বল্পমেয়াদী প্রকল্পে কাজ করার জন্য। সে সময় তাকে অর্থমন্ত্রীর পদের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তার পরিবার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ছিল, কিন্তু সেই বিরোধিতা উপেক্ষা করেই মন্ত্রী হন তিনি। পরিবারকে উপেক্ষা করায় পায়েন্দা এখন অনুতপ্ত।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.