আপনি পড়ছেন

রাশিয়ার হামলা থেকে ইউক্রেনকে বাঁচাতে মরিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা বিশ্ব। পারলে এক মুহূর্তেই একঘরে করে ফেলে রাশিয়াকে। কিন্তু রাশিয়ার কাছ থেকে পাওয়া তেল-গ্যাস এখন বিপাকে ফেলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোকে। খবর রয়টার্স।

eu 1ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ইউক্রেনে আক্রমণের প্রেক্ষিতে রাশিয়ার জ্বালানি সেক্টরের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যায় কি না এবং কীভাবে তা কার্যকর করা হবে- তা নিয়ে গতকাল সোমবার বৈঠকে বসেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। বৈঠকে কিছু কিছু দেশ অতি দ্রুত রাশিয়ার ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা, বিশেষ করে তেল-গ্যাস সরবরাহে নিষেধাজ্ঞার আরোপের আহ্বান জানায়। কিন্তু জার্মানি, নেদারল্যান্ডসের মতো প্রভাবশালী দেশগুলো এতে সম্মতি দেয়নি। এর বিকল্প হিসেবে আরো সক্রিয় ও কার্যকর কিছু খুঁজে পাওয়া যায় কি না- তার দিকে নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

ইইউ এবং তার মিত্ররা ইতোমধ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদ জব্দ করা, লেনদেনে বিধিনিষেধ আরোপ, আকাশপথ ব্যবহার নিষিদ্ধসহ কয়েক হাজার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার অন্যতম প্রধান বাণিজ্য তেল-গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারছে না নিজেদের স্বার্থেই। বিষয়টি দৃষ্টিকটু হলেও ইইউ দেশগুলোর হাতে খুব বেশি কিছুর করার নেই।

russian oil pipelines to europe 1রাশিয়ার তেলের পাইপলাইন

গতকালের বৈঠকে লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাব্রিলিয়াস ল্যান্ডসবার্গিস বলেন, তেল ও গ্যাস থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য ইউরোপ কেন পুতিনকে আরও সময় দেবে? কেন ইউরোপীয় বন্দরগুলো ব্যবহার করা এবং ইউরোপে অ-অনুমোদিত রাশিয়ান ব্যাংকগুলো ব্যবহার করার জন্য আরো বেশি সময় দেয়া হবে?

এর জবাবে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডস জানিয়েছে, ইইউ রাশিয়ার তেল-গ্যাসের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল এবং ইচ্ছে করলেই সবাই এখন এ প্রক্রিয়া থেকে সরে যেতে পারে না। এমনিতেই যুদ্ধের কারণে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা চাপের মুখে রয়েছে।

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেন, তেল নিষেধাজ্ঞার প্রশ্নটি আমরা চাই বা না চাই, সেটা প্রশ্ন নয় বরং আমরা তেলের ওপর কতটা নির্ভরশীল সেটাই প্রশ্ন।

তিনি বলেন, জার্মানি রাশিয়া থেকে প্রচুর পরিমাণে তেল আমদানি করছে। ইইউর অন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোও রাশিয়ার কাছ থেকে প্রতিদিন তেল আমদানি করে। তারা ইচ্ছ করলেই এ আমদানি বন্ধ করে দিতে পারে না। তাই আমাদেরকে এর বিকল্প খুঁজে বের করতে হবে। অন্যভাবে রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।

একজন ইইউ কূটনীতিক বলেন, কেউ কেউ আশা করেছিলেন যে জুনের মধ্যে ইইউ তেল নিষেধাজ্ঞাকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার জন্য পর্যাপ্ত বিকল্প শক্তির উৎস খুঁজে পাবে। তবে এ পর্যন্ত ইতিবাচক কিছু পাওয়া যায়নি।

এদিকে ইইউর এ ধরনের আলোচনার প্রেক্ষিতে মস্কো উল্টো হুমকি দিয়েছে, এ ধরনের বিষয়গুলো চলতে থাকলে তারা তেল ও গ্যাস বন্ধ করে দেয়ার দিকটি বিবেচনা করবেন।

আগামী বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আবারো আলোচনা করা হবে। এতে ন্যাটোর ৩০ সদস্য, ইইউ, জাপানসহ জি সেভেন সদস্যদের সাথে আলোচনার জন্য ব্রাসেলসে উপস্থিত থাকবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.