কেপিএলের সেমিফাইনাল-ফাইনাল হবে যুক্তরাজ্যে

২০২১ সাল থেকে শুরু হয়েছিল কাশ্মির প্রিমিয়ার লিগ, কেপিএল। টুর্নামেন্টটির দ্বিতীয় আসরের সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাজ্যে। বার্মিংহামে পাকিস্তানের কনস্যুলেটে আয়োজিত কেপিএলের প্রচারের জন্য একটি রোডশো ইভেন্টের পর কেপিএলের প্রেসিডেন্ট আরিফ মালিক এবং সিইও চৌধুরী শাহজাদ আখতার এ কথা জানান। খবর জিও নিউজ।

কেপিএল

কেপিএলের সিইও চৌধুরী শাহজাদ আখতার বলেন, কাশ্মিরি বংশোদ্ভূত লোকজনের বড় একটি অংশ যুক্তরাজ্যে বাস করে, যাদের সংখ্যা প্রায় এক মিলিয়ন। সুতরাং, কেপিএলের এ আয়োজন অর্থাৎ সেমিফাইনাল ও ফাইনাল যুক্তরাজ্যের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়া তাদের জন্য অনন্য এক উপহার বলে বিবেচিত হবে।

যারা কাশ্মিরের বাসিন্দা এবং পিএসএলে খেলতে চান তাদের জন্য কেপিএল একটি সেতুর মতো উল্লেখ করে আখতার আরো বলেন, কেপিএলের আগে কাশ্মিরে স্থানীয় ক্রিকেট প্রতিভাকে ব্যবহার করার কোনো উপায় ছিল না।

কেপিএল নিয়ে কথা বলছেন প্রেসিডেন্ট ও সিইও

তিনি বলেন, জামান খান ও কাশিফ আলীর মতো খেলোয়াড়রা কেপিএলের পর পিএসএলেও নিজেদের প্রমাণ করেছেন। তারা এখন কাশ্মির প্রিমিয়ার লিগের প্রতিনিধি বা দূত হিসেবে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করেছেন।

কেপিএলের সিইওর মতে, কাশ্মিরে এমন প্রচুর ক্রিকেট প্রতিভা রয়েছে, গ্লোবাল লিগের প্ল্যাটফর্মগুলো যাদের ব্যবহার করতে পারে। তিনি বলেন, কেপিএল আরো বেশি খেলোয়াড়ের জন্য বিশ্বের আন্তর্জাতিক লিগ এবং কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার এবং তারকা হওয়ার সুযোগ করে দেবে।

গত টুর্নামেন্টের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে কেপিএলের প্রেসিডেন্ট আরিফ মালিক বলেন, টুর্নামেন্টে প্রথম বলটি করার মুহূর্তে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, লিগটি আসলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ টুর্নামেন্টের ব্যাপারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) ভূমিকা খুবই নেতিবাচক ছিল।

মালিক বলেন, বিসিসিআই থেকে যে প্রতিক্রিয়া এসেছিল, তা ছিল একান্তই অপ্রয়োজনীয়। আমরা শুধু ক্রিকেট নিয়েই ভাবছিলাম, কোনো রাজনীতি এর সাথে যুক্ত ছিল না। অথচ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটার ছাড়াও সম্প্রচার পরিষেবা প্রদানকারীদের ওই টুর্নামেন্টে না যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। তাদের বলা হয়েছিল, এটি নিরাপদ জায়গা নয় এবং তারা নিরাপত্তা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।

তিনি বলেন, বিদেশি খেলোয়াড়দেরও লিগে অংশ না নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। ইংলিশ স্পিনার মন্টি পানেসার বিষয়টি মিডিয়াতে নিয়ে এসেছিলেন। যখন তিনি মিডিয়াতে বিবৃতি দিয়েছিলেন, তখনই সবাই বুঝতে পেরেছিলেন যে, কেপিএলে খেলতে আগ্রহী বিদেশি খেলোয়াড়রা কতটা চাপের মুখোমুখি হয়েছিল।

কেপিএল কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি বছরের সংস্করণে তারা যুক্তরাজ্য থেকে প্রচুর সংখ্যক প্রবাসী কাশ্মিরি খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করতে প্রস্তুত। যেহেতু লিগে দলের সংখ্যা এখন আটটি হয়েছে এবং প্রতিটি দলে পাঁচজন কাশ্মিরি খেলোয়াড় থাকা বাধ্যতামূলক, তাই ধারণা করা হচ্ছে, কাশ্মির বা কাশ্মিরি বংশোদ্ভূত প্রায় চল্লিশজন খেলোয়াড় কেপিএলের দ্বিতীয় সংস্করণে উপস্থিত হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টে কাশ্মিরের মুজাফফরাবাদ স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রাওয়ালাকোট হকস।