তাসকিনের ৫, কঠিন চাপে দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রথম দুই ম্যাচ শেষে সিরিজের ফল ১-১ সমতা। আজ সেঞ্চুরিয়নে অলিখিত ফাইনালে জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে অল্প রানে বেঁধে ফেলার পথে হাঁটছে তামিম ইকবালের দল। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৯ ওভারে ১২৬ রানে প্রোটিয়াদের আট উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ দল।

তাসকিনের ৫, কঠিন চাপে দক্ষিণ আফ্রিকা

স্বাগতিকদের চেপে ধরতে মূখ্য অবদান তাসকিন আহমেদের। ৩০ রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ধসিয়ে দিয়েছেন ডানহাতি পেসার। বাকি তিনটি শিকার শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের। প্রোটিয়াদের ১৫০ রানে মধ্যে গুঁড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশের।

বল হাতে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি বাংলাদেশের। সপ্তম ওভার শেষ হওয়ার আগেই বিনা উইকেটে ৪৬ রান তুলে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপরই প্রত্যাবর্তনের শুরু বাংলাদেশের। প্রোটিয়াদের চেপে ধরেন তামিমরা। ৮৩ রানের মধ্যে স্বাগতিকদের পাঁচ উইকেট তুলে নেয় টাইগাররা।

এই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারছে না দলটি। শুরুর বিপর্যয়ে প্রোটিয়াদের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার কাইল ভেরেনি (৯), অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা (২) ও রসি ফন ডার ডুসেন (৪) যেতে পারেননি দুই অংকে। ওপেনার কুইন্টন ডি কক ফেরেন ১২ রানে। তার সঙ্গী ৩৯ রানে আউট হন। মিরাজের ব্রেক থ্রু এনে দেওয়ার পর উইকেট শিকারে যোগ দেন সাকিব ও শরিফুল।

এরপর তাসকিন হানেন জোড়া আঘাত। পরে আরো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন ডানহাতি পেসার। ডেভিড মিলার (১৬) ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস (২০) কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও তা গুঁড়িয়ে দেন তাসকিন। এমন দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর মাঠেই সবুজ গালিচায় সিজদাহ দিয়ে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তাসকিন।

এর আগে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। টানা ছয় ওয়ানডেতে একই দল নিয়ে খেলছে টাইগাররা। আর দক্ষিণ আফ্রিকার একাদশে বদল দেখা গেছে একটি।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, ইয়াসির আলি।

দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), জানেমান মালান, কুইন্টন ডি কক, ডেভিড মিলার, লুঙ্গি এনগিডি, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস, কেশভ মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, তাবরাইজ শামসি, রাসি ফন ডার ডুসের, কাইল ভেরেনা।