২৯ দিনে গড়াল যুদ্ধ, ব্যর্থ কূটনৈতিক তৎপরতা

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ২৯ দিনে গড়িয়েছে। যুদ্ধ ঘিরে কূটনীতিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তবে এখনও সেই তৎপরতা কোনো কাজে আসেনি। গতকাল বৃহস্পতিবার ন্যাটো, জি-৭ এবং ইইউ নেতারা ব্রাসেলসে মিলিত হন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ৪০ হাজার সৈন্য নিয়ে গঠিত চারটি নতুন যুদ্ধদল স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়াতে পাঠানো হবে। বিবিসি।

ইউক্রেনে ধ্বংসযজ্ঞ, ফাইল ছবি

বৈঠকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাগুলো দীর্ঘস্থায়ী করতে ন্যাটোর ঐক্য অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন জো বাইডেন। ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডেন, বরিস জনসন এবং ইমানুয়েল ম্যাক্রোন।

রুবলে অর্থপ্রদানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন জার্মানির স্কোলজ এবং ইইউ প্রধান ভন ডের লেয়েন। তারা বলেছেন, রাশিয়ান শক্তির জন্য অর্থ প্রদান রুবেলে করা হবে না। যতই ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করা হোক না কেন, এমন শর্ত মানা হবে না।

ইউক্রেন যুদ্ধ ও ন্যাটো

বরিস জনসন বিবিসিকে বলেছেন, ইউক্রেন ‘অবশ্যই জিততে পারে’। তবে তিনি সতর্ক করেছেন, পুতিন শান্তি অনুসরণ করতে আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ প্রতিরক্ষা কৌশলবিদ বলেছেন, রাশিয়া যখন আক্রমণ করেছিল তখন যতটা শক্তিশালী ছিল, যুদ্ধ শেষে দেশটি অনেক দুর্বল হয়ে পড়বে।

অধিকৃত ইউক্রেনীয় বন্দর শহর বারদিয়ানস্কে একটি রাশিয়ান জাহাজ ধ্বংস করা হয়েছে এবং অন্য দুটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছে। ইউক্রেন জানিয়েছে, ১০ ইউক্রেনীয় বন্দির বিনিময়ে ১০ জন রাশিয়ানকে বিনিময় করা হয়েছে।

ওডেসা থেকে ডুবে যাওয়া একটি জাহাজ থেকে উদ্ধার করা ১১ রাশিয়ান বেসামরিক নাবিককে ১৯ ইউক্রেনীয় নাবিকের বিনিময়ে অদলবদল করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব শহর মারিওপল এখনও অবরুদ্ধ। আরও পশ্চিমে মাইকোলাইভের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরবরাহ পেতে অক্ষম।

জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বিবিসিকে বলেছেন, ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের অপহরণ করা হয়েছে এবং রুশ-অধিকৃত অঞ্চলে জিম্মি করা হয়েছে।