চ্যাম্পিয়নদের উড়িয়ে মিশন শুরু কলকাতার

বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন বোলাররা। গড়ে দিয়েছেন জয়ের ভিত। পরে সুন্দর একটা সমাপ্তি টেনেছেন ব্যাটাররা। ব্যাট-বলে দুর্দান্ত নৈপুন্যে চেন্নাই সুপার কিংসকে উড়িয়ে দিল কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। ছয় উইকেটের দারুণ জয় দিয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) হারানো রাজত্ব উদ্ধারের মিশন শুরু হলো কলকাতার।

চ্যাম্পিয়নদের উড়িয়ে মিশন শুরু কলকাতার

আজ মুম্বাইর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৩১ রানের মামুলি সংগ্রহ তোলে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই। রান তাড়ায় কলকাতা জিতেছে নয় বল হাতে রেখেই। গত আসরে সাত উইকেটের হার দিয়েই যাত্রা শুরু করেছিল চেন্নাই। তবু শিরোপা জিতেছিল তারা।

সহজ রান তাড়ায় কলকাতার জয়ের কাজটা সহজ করে দিয়েছেন ওপেনার আজিঙ্কা রাহানে। ৩৪ বলে ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। ইনিংস খেলার পথে তিনি যে দুজন সঙ্গী পেয়েছেন তারা সাজঘরে ফিরেছেন উইকেটে থিতু হওয়ার পর। ১৬ বলে ১৬ রান করেন ভেঙ্কাটেশ আইয়ার। ১৭ বলে ২১ রানে ফেরেন নিতিশ রানা।

পরে স্যাম বিলিংসকে নিয়ে ছোটখাটের একটু জুটি গড়েন অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। বিলিংস ২২ বলে ২৫ রানে ডিজে ব্রাভোর তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরে যান সাজঘরে। আর ১৯ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন শ্রেয়াস। কলকাতার পতন হওয়া চার উইকেটের মধ্যে কেবল রাহানের উইকেটটাই পাননি ব্রাভো। তার শিকার মিচেল স্যান্টনার।

এর আগে বল হাতে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন কলাকাতার বোলাররা। মিতব্যয়ী বোলিংয়ে আটকে রাখেন চেন্নাইকে। দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় এবং ডেভন কনওয়েকে শুরুতেই সাজঘরে পাঠান পেসার উমেশ যাদব। ১৭ বলে ১৫ রান তুলে রান আউটে কাঁটা পড়েন আম্বাতি রায়ডু।

পরে ২১ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় ২৮ রান করেন রবিন উথাপ্পা। শিভাম দুবে এলেন আর গেলেন। ১১তম ওভারে চেন্নাইর যখন ৬১ রান তখনই সাজঘরে ফেরেন তিনি। ধারাবাহিক চাপ আর সামলে উঠতে পারেনি চেন্নাই। বরং নতুন অধিনায়ক রবিন্দ্র জাদেজার মন্থর গতির ব্যাটিংয়ের কারণে বড় মূল্য দিতে হয়েছে দলকে।

২৬ রান খেলতে ২৮ বল খরচ করেছেন তিনি। নেই কোনো বাউন্ডারি। স্রেফ একটি ছক্কা মেরেছেন ইনিংসে। তবে চেন্নাইকে মান বাঁচানো পুঁজিতে নিয়ে যেতে বড় অবদান টুর্নামেন্ট শুরুর আগ মুহূর্তে নেতৃত্ব ছাড়া মহেন্দ্র সিং ধোনি। ৩৮ বলে ৫০ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে অপরাজিত থাকনে 'ক্যাপ্টেন কুল'। সাতটি চার ও এক ছক্কায় ইনিংস সাজান তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিফলে গেল ধোনির ইনিংসটা।

চেন্নাইর বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল উমেশ। চার ওভারে কুড়ি রান খরচায় দুই উইকেট নেন তিনি। তবে জাদেজা-ধোনিদের অল্পতে আটকাতে সুনিল নারাইনের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। উইকেট না পেলেও চার ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়েছেন ক্যারিবীয় স্পিনার।

দুই দলের পরবর্তী ম্যাচ

৩০ মার্চ: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু-কলকাতা নাইট রাইডার্স, রাত ৮টা।
৩১ মার্চ: লখনৌ সুপার জায়ান্টস-চেন্নাই সুপার কিংস, রাত ৮টা।

রোববারের খেলা

দিল্লি ক্যাপিটালস-মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, বিকেল ৪টা।
পাঞ্জাব কিংস-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু, রাত ৮টা।