তুমুল লড়াই, সহজে জিততে দিল না কলকাতা

মন্থর উইকেটে রান তুলতে হিমশিম খেতে হলো কলকাতা নাইট রাইডার্স ব্যাটারদের। দলীয় সংগ্রহ কোনোরকম তিন অংক ছুঁয়ে মান বাঁচিয়েছে দলটি। মামুলি পুঁঁজি নিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করল সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরে উঠল না। আইপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে হারের মুখ দেখল কলকাতা। আর ঠিক বিপরীত অভিজ্ঞতা হলো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর।

ব্যাঙ্গালুরুকে সহজে জিততে দিল না কলকাতা

আজ মুম্বাইতে ইনিংসের সাত বল বাকি থাকতে কলকাতাকে ১২৮ রানে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ব্যাঙ্গালুরু। সহজ রান তাড়া করতে নেমে একটা পর্যায়ে হারের মুখেও পড়েছিল ফ্যাফ ডু প্লেসির দল। ‌১৭ রানে তিন উইকেট খুইয়ে ভালোই চাপে পড়েছিল তারা। পরে মিডল অর্ডারের দৃঢ়তায় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিলেও তাদের সহজে জিততে দেয়নি কলকাতা। নাটুকে ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ব্যাঙ্গালুরু (১৩২/৭) জিতল চার বল ও তিন উইকেট হাতে রেখে।

কলকাতাকে দ্রুত অলআউট করার নায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। চার ওভারে ২০ রানে চার উইকেট নিয়ে কেকেআরকে ধসিয়ে দিয়েছেন লঙ্কান স্পিনার। কলকাতার বাকি সর্বনাশ করেছেন হার্শাল প্যাটেল ও আকাশ দীপ। চার ওভারে দুই মেডেন দিয়ে ১১ রানে প্যাটেল নিলেন দুই উইকেট। সর্বোচ্চ ৪৫ রান দেওয়া আকাশের শিকার তিনটি।

এই ত্রিমুখী তোপে কলকাতার কোনো ব্যাটার বেশিদূর যেতে পারেননি। আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮ বলে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন আন্দ্রে রাসেল। বাকিদের কেউ কুড়ি রানও করতে পারেননি। ভেঙ্কাটেশ আইয়ার (১০), অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার (১৩), নিতিশ রানা (১০), সুনিল নারাইন (১২), স্যাম বিলিংস (১৪), উমেশ যাদব (১৮) ও বরুন চক্রবর্তী (১০*) অল্পতে আউট হলেও দলীয় শতক ছাড়াতে ছিল অবদান।

মামুলি লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে ব্যাঙ্গালুরু। অধিনায়ক ডু প্লেসি (৫), অঞ্জু রাওয়াতের (০) পর বিদায় নেন বিরাট কোহলিও (১২)। শেষ দুজনকে শিকার বানান আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক পেসার উমেশ যাদব। চতুর্থ উইকেটে ৪৫ রানের জুটিতে আসে স্বস্তি। উইকেটের লাগাম টেনে ধরেন ডেভিড উইলি ও শেরফান রাদারফোর্ড।

২৮ বলে ১৮ রানে বিদায় নেন উইলি। পরে শাহবাজ আহমেদকে নিয়ে আরেকটি কার্যকর জুটি গড়েন রাদারফোর্ড। কিন্তু ২০ বলে ২৭ রানে ফেরেন শাহবাজ। ইনিংসে তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। সঙ্গী হারানোর একটু পর সঙ্গ হারালেন রাদারফোর্ডও। ৪০ বলে ২৮ রানে ফেরেন তিনি। থিতু থাকা দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন কলকাতার বোলাররা।

৩০ বলে ৩৬ রানের সমীকরণ ছিল ব্যাঙ্গালুরুর সামনে। হাতে অক্ষত ছিল ছয়টি উইকেট। ১৮তম ওভারে ম্যাচের রঙ পাল্টে দেন টিম সাউদি। ওই ওভারে আট রান দিলেও তুলে নেন দুই উইকেট। শেষ দুই ওভারে ব্যাঙ্গালুরুর সমীকরণ দাঁড়ায় ১৭ রানের। ১৯তম ওভারে ভেঙ্কাটেশ আইয়ারকে দুই চার মেরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন প্যাটেল। শেষ ওভারে সাত রানের চ্যালেঞ্জ। ব্যাঙ্গালুরু ব্যাটার ডিনেশ কার্তিক প্রথম দুই বলে ছক্কা-চারে মিলিয়ে ফেলেন সমীকরণ। সাত বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন কার্দিক। ছয় বলে ১০ রানে অজেয় ছিলেন প্যাটেল।

দুই দলের পরবর্তী ম্যাচ

১ এপ্রিল (শুক্রবার): কলকাতা নাইট রাইডার্স-পাঞ্জাব কিংস, রাত ৮টা
৫ এপ্রিল (মঙ্গলবার): রাজস্থান রয়্যালস-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু, রাত ৮টা

পরবর্তী দিনের খেলা

৩১ মার্চ (বৃহস্পতিবার): লখনৌ সুপার জায়ান্টস-চেন্নাই সুপার কিংস, রাত ৮টা