যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আহ্বান লি পেনের

মার্কিন চাপে পড়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো রাশিয়া থেকে যদি জ্বালানি আমদানি নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয় তাহলে এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। বিএফএম টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কট্টর ডানপন্থী নেত্রী ম্যারি লি পেন এই দাবি করেন। খবর পার্সটুডে।

ম্যারি লি পেন

সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাস নেওয়া বন্ধ করতে ওয়াশিংটন অব্যাহতভাবে ইইউকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে। যদি তাই হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের কাছে তরলীকৃত গ্যাস বিক্রি করবে এবং তা থেকে মুনাফা অর্জন করবে। এরপর রাশিয়াবিরোধী নিষেধাজ্ঞার জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে ফ্রান্সে অর্থ স্থানান্তর করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রতিবেশী ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার ওপর শতশত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। অনেক দেশই ইউক্রেনে হামলার সমালোচনা করেছে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো এত প্রতিক্রিয়া দেখায়নি আর কোনো দেশ।

রাশিয়ার গ্যাসলাইন

লি পেনের মতে, যদি ওয়াশিংটন ইইউতে রাশিয়ান গ্যাস আমদানি বন্ধ করতে সফল হয়, তাহলে চরম দুর্ভোগে পড়বে ফরাসিরা। তাদের জ্বালানি বিল অনেক বেড়ে যাবে। এতে লাভবান হবে মার্কিন জ্বালানি ব্যবসায়ীরা। তারা কারো দুদর্শার দিকে কমই খেয়াল করেন বরং তাদের সমস্ত মনোযোগ মুনাফা অর্জনের দিকে। তারা এই নিষেধাজ্ঞা থেকে ব্যবসা করে লাভ পেতেই আগ্রহী।

ইউরোপীয় ইউনিয়নও গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মস্কোর ওপর অসংখ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কিন্তু রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি বন্ধে সদস্য রাষ্ট্রগুলো একমত হতে পারেনি। কোনো কোনো দেশ তো সরাসরিই জানিয়ে দিয়েছে, রাশিয়ার জ্বালানির কোনো বিকল্প তাদের কাছে নেই। অন্য কোনো উৎস হতে জ্বালানি সংগ্রহ করতে হলে তাদের জীবন ধারণের ব্যয় অনেকখানি বেড়ে যাবে। ফলে রুশ জ্বালানি ক্রয়ের ব্যাপারে তারা স্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত পৌঁছতে পারেনি।

মস্কো বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো দ্বারা ব্যবহৃত গ্যাসের প্রায় ৪০ শতাংশ এবং তাদের তেলের প্রায় এক তৃতীয়াংশ সরবরাহ করে। রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক সম্প্রতি অনুমান করেছেন, রাশিয়ান তেল ও গ্যাস সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপন করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৫-১০ বছর সময় লেগে যাবে।