বাটলারের শতক: ৪২৭ রানের ম্যাচে কলকাতার নাটুকে হার

আট বলে ১২ রানের সমীকরণ। হিসেবটা কঠিন। কিন্তু যখন শুনবেন ২১৭ রান তাড়া করতে নেমে এতদূর আসা গেল, এই রান আর তেমন কি। অথচ সমীকরণটা শেষ অবধি মেলাতে পারল না কলকাতা নাইট রাইডার্স। বরং শেষ ওভারের প্রথম চার বলে দুই উইকেট হারিয়ে ২১০ রানে অলআউট হয়ে গেল কলকাতা। সোমবার রাতে প্রায় হারতে বসা ম্যাচটা সাত রানে জিতে গেল রাজস্থান রয়্যালস।

বাটলারের শতক: ৪২৭ রানের ম্যাচে কলকাতার নাটুকে হার

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে জস বাটলার তাণ্ডবে দু শ ছাড়ায় রাজস্থান। ৬১ বলে ১০৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন ইংলিশ ওপেনার। ইনিংস সাজান নয়টি চার ও পাঁচ ছক্কায়। পরে তার দেখানো পথেই হাঁটলেন সতীর্থরা। দেবদূত পাডিক্কাল ১৮ বলে ২৪, অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ১৯ বলে ৩৮ এবং শিমরন হেটমায়ার ১৩ বলে ২৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন।

রান তাড়ায় ইনিংসের প্রথম বলেই ধাক্কা খায় কলকাতা। রান আউট হয়ে যান সুনিল নারাইন। কলকাতা ধাক্কা সামলে নেয় অ্যারন ফিঞ্চ ও অধিনায়ক শ্রেয়ার আইয়ারের ঝড়ে। দুজন মিলে নবম ওভারে দলীয় শতক পার করেন। ১০৬ রানের জুটি ভাঙে ফিঞ্চের বিদায়ে। ২৮ বলে নয়টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৮ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। ৫১ বলে সাতটি চার ও চার ছক্কায় ৮৫ রানে আউট হন শ্রেয়াস।

১১ বলে ১৮ রানে করে ফিরে যান নিতিশ রানা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা কলকাতাকে চোখ রাঙাচ্ছিল পরাজয়। অমন সময়ে জ্বলে ওঠেন উমেশ যাদব। দশ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে নয় বলে ২১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে কলকাতার জয়ের আশা দেখালেও শেষটায় সুন্দর সমাপ্তি টানতে পারেননি উমেশ। ৪০ রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডার ধসিয়ে দেন যুভেন্দ্র চাহাল। বাটলার ম্যাচ সেরার দাবিদার হলেও পুরস্কার পান ভারতীয় স্পিনার।

এই হারে আইপিএল টেবিলের শীর্ষে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া করল রাজস্থান। ছয় ম্যাচে চার জয় নিয়ে দুইয়ে থাকল তারা। ১০ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে গুজরাট টাইটানস। সাত ম্যাচের চারটিতে হেরে তালিকার ছয় নম্বরে থাকল কলকাতা।

পরবর্তী দিনের খেলা

১৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার): লখনৌ সুপার জায়ান্টস-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু, রাত ৮টা।

দুই দলের পরবর্তী ম্যাচ

২২ এপ্রিল (শুক্রবার): দিল্লি ক্যাপিটালস-রাজস্থান রয়্যালস, রাত ৮টা।
২৩ এপ্রিল (শনিবার): কলকাতা নাইট রাইডার্স-গুজরাট টাইটানস, বিকেল ৪টা।