ফ্রান্সে ভোট: হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ম্যাক্রন ও লে পেন

আজ রোববার দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে ফ্রান্সে। এই ভোটের মাধ্যমে দেশটির জনগণ আরও পাঁচ বছরের জন্য একজন নতুন প্রেসিডেন্টকে বেছে নেবেন। ভোট সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী ১২ ঘণ্টা চলবে। প্রথম রাউন্ডের ভোটে এগিয়ে রয়েছেন মধ্যপন্থী ৪৪ বছর বয়সী ইমানুয়েল ম্যাক্রন।

ম্যাক্রন ও লে পেন

ম্যাক্রনের সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন উগ্র ডানপন্থী প্রার্থী মেরিন লে পেন। জয়ী হওয়ার জন্য উভয়কেই অন্য প্রার্থীদের সমর্থনকারী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে হচ্ছে। বিবিসি।

ম্যাক্রোনের বিরোধিতাকারীরা তাকে অহংকারী এবং ধনীদের প্রেসিডেন্ট বলে অভিহিত করে থাকে। অন্যদিকে ডানপন্থী নেতা লে পেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার অভিযোগ রয়েছে।

অনেকের অভিযোগ, ম্যাক্রন পরিবর্তনের যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন, তা তিনি এখনও দেখাতে পারেননি। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদও হয়েছে। এছাড়া কোভিড মহামারি এবং জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের কারণে বিতর্কিত হয়ে পড়েছেন ম্যাক্রোন।

এদিকে মেরিন লে পেন ২০১৭ সালে দ্বিতীয় রাউন্ডে একই প্রতিপক্ষের কাছে বড় ধরনের পরাজিত হওয়ার সময় ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। এবার নির্বাচনে হারলে তিনি আর নির্বাচন করবেন বলে মনে হয় না। সেক্ষেত্রে হয়তো এটিই তার শেষ নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

এই নির্বাচনে কতজন ভোটার কোন প্রার্থীকে সমর্থন করবে তা নিয়ে রহস্য রয়েছে। কারণ ফ্রান্সের বেশিরভাগ অংশ ছুটিতে রয়েছে। ভোটার উপস্থিতি ঐতিহাসিকভাবে কম হতে পারে। ফলাফল যাই হোক না কেন, প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোন আজ সন্ধ্যায় আইফেল টাওয়ারের পাদদেশে একটি মঞ্চ থেকে ভোটারদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।

লে পেন ও পুতিন: লে পেনের বিরুদ্ধে পুতিনকে সমর্থন করার অভিযোগ চলে আসছে আগে থেকেই। কিন্তু আসলে কি তাই? বিবিসির সাথে ভোটাররা এ ব্যাপারে মত প্রকাশ করেছেন। শিক্ষানবিশ হিসাবরক্ষক সেরেনা ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি বলছেন, পুতিন সম্পর্কে লে পেন কী অনুভব করেন তা আমরা সত্যিই জানি না। প্রেসিডেন্ট পরিবর্তন হলে দেশ অস্থিতিশীল হবে।

গ্রামে একটি লাইব্রেরি চালান নিকোল। তিনি অনেক লোককে ডানপন্থার দিকে ঝুঁকতে দেখেছেন। তবে লে পেন সম্পর্কে তিনি বলছেন, আমি তার সম্পর্কে এতটা চিন্তিত নই। বামপন্থীরা যার দিকে যাবে তারই সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে তিনি জানান। সেক্ষেত্রে বামপন্থী প্রার্থী জিন-লুক মেলেনচন বলে দিয়েছেন তিনি লে পেনকে সমর্থন করবেন না। এখানেই ভাগ্য খুলে যেতে পারে ম্যাক্রোনের।