কোভিডের অর্থনৈতিক মন্দার পরও বিশ্বে সামরিক ব্যয়ের রেকর্ড

বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয় ২০২১ সালে প্রথমবারের মতো ২ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আজ সোমবার স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) প্রকাশিত একটি নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ডয়েচে ভেলে।

বিশ্বে সামরিক ব্যয়ের রেকর্ড, ফাইল ছবি

পিস থিঙ্ক ট্যাঙ্কটির মতে, মোট বৈশ্বিক প্রতিরক্ষা ব্যয় ২.১১৩ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২০ সালের তুলনায় ০.৭ শতাংশ বেশি। সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির এটি টানা সপ্তম বছর। এসআইপিআরআই-এর সামরিক ব্যয় এবং অস্ত্র উত্পাদন কর্মসূচির সিনিয়র গবেষক ডিয়েগো লোপেস দা সিলভা বলছেন, এমনকি কোভিড মহামারির অর্থনৈতিক পতনের মধ্যেও বিশ্ব সামরিক ব্যয় রেকর্ড স্তরে পৌঁছেছে।

সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। ২০২১ সালে পাঁচটি বৃহত্তম সামরিক ব্যয়কারী দেশ ছিল- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, যুক্তরাজ্য এবং রাশিয়া, যা একসাথে মোট ব্যয়ের ৬২ শতাংশ। এসআইপিআরআই বলছে, এবার শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন একাই মোট ব্যয়ের ৫২ শতাংশের জন্য দায়ী।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পতাকা

চীনের ব্যয় টানা ২৭তম বছরে বেড়ে ২৯৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যেখানে রাশিয়ার ব্যয় ২০২১ সালে টানা তৃতীয় বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় প্রতিরক্ষা খাতে অনেক বেশি ব্যয় করলেও সেটা আগের বছরের তুলনায় কমেছে।

এসআইপিআরআই বলছে, গবেষণা ও উন্নয়নে মার্কিন ব্যয়ের সামগ্রিক পতনের কারণে এই পতন আংশিক ছিল, তবে দেশটি পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তির বিকাশের দিকে মনোনিবেশ করেছে।

রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব: ২০২১ সালে রাশিয়ার ব্যয় ২.৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৫.৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা দেশটির মোট জিডিপির ৪.১ শতাংশতে দাঁড়িয়েছে। আইএসপিআরআই-এর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়া যখন ইউক্রেন আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন রাশিয়ান জ্বালানি রপ্তানির জন্য উচ্চমূল্যের ব্যয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।

২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পর থেকে ইউক্রেনের সামরিক ব্যয় ৭২ শতাংশ বেড়েছে। দেশটি ২০২১ সালে ৫.৯ বিলিয়ন ডলার বা দেশের জিডিপির ৩.২ শতাংশ ব্যয় করেছে সামরিক খাতে।