খাশোগি হত্যাকাণ্ড: সম্পর্ক মেরামতে সৌদি যাচ্ছেন এরদোয়ান

২০১৮ সালে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়। হত্যার ঘটনাস্থল তুরস্কের সৌদি দূতাবাস। এর পর থেকেই তুরস্ক-সৌদি সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। এবার সৌদির সাথে সম্পর্ক মেরামত করতে চাইছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান। সেজন্য সৌদি সফরের পরিকল্পনা করছেন তিনি। সফরের সাথে সংশ্লিষ্ট তিনটি সূত্র মিডল ইস্ট আইকে এই তথ্য জানিয়েছে।

সৌদি ও তুরস্কের রাষ্ট্রপ্রধান

সূত্রগুলো বলছে, সফরটি আগামী বৃহস্পতিবারের জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তবে সময়সূচী সংক্রান্ত সমস্যার কারণে সফরটি বিলম্বিত হচ্ছে। তুরস্ক চলতি মাসের শুরুর দিকে খাশোগির বিচার সৌদি আরবের কাছে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সম্পর্ক মেরামতের অন্যতম প্রধান দাবি পূরণ করেছে। খাশোগি হত্যা মামলায় ২৬ জন আসামি জড়িত।

৫৯ বছর বয়সী খাশোগি ছিলেন ওয়াশিংটন পোস্ট এবং মিডল ইস্ট আই-এর কলামিস্ট। ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। এটি একটি জঘন্য হত্যাকাণ্ড, যা বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছিল।

সাংবাদিক খাশোগি ও প্রিন্স সালমান

হত্যার পর আঙ্কারা-রিয়াদ সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ হয়। কিন্তু তুরস্ক নিজের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য একটি নতুন আঞ্চলিক নীতির অংশ হিসাবে সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক সংশোধন করার চেষ্টা করছে।

এক বছর আগে প্রকাশিত একটি মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবের ডি ফ্যাক্টো শাসক ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান খাশোগিকে হত্যার অনুমোদন দিয়েছেন। কিন্তু সৌদি সরকার ক্রাউন প্রিন্সের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে এবং প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে।

খাশোগি হত্যার ঘটনায় সৌদি আরব তুর্কি পণ্যে বয়কট আরোপ করে। এখন সাড়ে তিন বছর পর সৌদি যুবরাজ এরদোয়ানের সফরকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। খাশোগি হত্যা নিয়ে টানাপোড়েনের সুনির্দিষ্ট সমাপ্তি টানতে যুবরাজ এই সময়কে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।

তুর্কি মামলা ছাড়াও খাশোগির বাগদত্তা হ্যাটিস চেঙ্গিজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অ্যাডভোকেসি গ্রুপ ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাউ (ডন) এর করা আরেকটি মামলা মার্কিন ফেডারেল আদালতে চলমান রয়েছে।