কোরআন খতমের রাতে হারাম শরিফে ৩০ লাখ মুসল্লি

করোনার কারণে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পেরিয়ে হারাম শরিফ ফিরেছে স্বরূপে। গতকাল ২৯ রোজার রাতে কুরআন খতমের তারাবিতে শামিল হন ৩০ লক্ষাধিক মুসল্লি। কানায় কানায় পূর্ণ হারাম শরিফে ছিল না তিল ধারণের ঠাঁই। নারী মুসল্লির উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়।

কাবা শরিফে নারী মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়

তারাবিতে কোরআন খতম সম্পন্ন করেন দুই পবিত্র মসজিদ প্রশাসনের প্রধান এবং মসজিদে হারামের ইমাম ও খতিব শেখ ডক্টর আল সুদাইস। গতকাল হারাম শরিফের তারাবিতে উপস্থিত ছিলেন সৌদি বাদশাহ ও দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক সালমান বিন আবদুল আজিজও। হারাম শরীফের নিচতলা, প্রথম তলা, ছাদ, হারাম শরীফের আশপাশের হোটেল এবং করিডোর ও রাস্তাগুলো মুসল্লিতে পূর্ণ ছিল।

দুই বছর ধরে করোনা মহামারির কারণে পবিত্র হারামে সব ধরনের ইবাদতের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এবার সেই বিধিনিষেধ না থাকায় সারা বিশ্ব থেকে মুসলমানরা বাঁধভাঙা ঢেউয়ের মতো সেখানে ভিড় করেন। এছাড়া কোরআন খতমের রাতে মদিনার মসজিদে নববিতে পাঁচ লক্ষাধিক মুসল্লির জমায়েত হয়।

কোরআন খতমের তারাবিতে অংশ নেন সৌদি বাদশাহ সালমান

পবিত্র দুই মসজিদের ইমামরা তারাবির পর বিশেষ মোনাজতে আল-আকসা মসজিদ তথা প্রথম কিবলার মুক্তি, ইসলাম ও মুসলমানদের ফিতনা থেকে বের করে আনতে, বিশ্ববাসীকে বৈশ্বিক দুর্যোগ ও দুর্ভোগ থেকে বাঁচানোর জন্য দোয়া করেন। মুসলিম জাতির মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি এবং বিভেদ ও অনৈক্য থেকে তাদের মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেন।

জানা গেছে, পবিত্র কোরআন খতমের তারাবিতে অংশ নিতে লাখ লাখ মুসল্লি মাগরিবের আগেই হারাম শরীফে পৌঁছেছিলেন। তারা সেখানেই ইফতার করে মাগরিব, এশা ও তারাবির নামাজ আদায় করেন। এ উপলক্ষে মুসল্লিদের নিরাপত্তা বিধানে সরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।

বিশ্বজুড়ে স্যাটেলাইট চ্যানেলের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষ দুই পবিত্র মসজিদের মনোমুগ্ধকর ও প্রাণময় এসব দৃশ্য দেখেছেন।