গ্যাসের জন্য ‘লড়াইয়ে’ নেমেছে ফ্রান্স

রাশিয়ার গ্যাসবিরোধী লড়াইয়ে নেমেছে ইউরোপ। সেই লড়াইয়ে যোগ দিয়েছে ফ্রান্সও। প্যারিসের দক্ষিণ-পশ্চিমে লীলাভ‚ মিতে কৃষকরা রাশিয়ার গ্যাস থেকে নিজেদের মুক্ত করতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এ কাজে তারা বায়োগ্যাস প্ল্যান্টের ওপরই বেশি জোর দিচ্ছে। এদিকে ইউরোপীয় বায়োগ্যাস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, জৈব-মিথেনের উৎপাদন দ্রুত বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

রাশিয়ার গ্যাসবিরোধী লড়াইয়ে নেমেছে ইউরোপ। সেই লড়াইয়ে যোগ দিয়েছে ফ্রান্সও

বায়োগ্যাস প্রকল্প নিয়ে ফ্রান্স বেশ জোরেশোরে মাঠে নেমেছে। ইইউ মনে করছে, এ পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন হলে জীবাশ্ম জ্বালানি ক্রয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ইউরো খরচ কমে আসবে।

যদিও রুশ গ্যাসের বিকল্প হিসেবে বায়োগ্যাস থেকে যোগান নেওয়ার বিষয়টি বেশ সময়সাপেক্ষ। এরপরও ফ্রান্স ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর জৈব-মিথেন বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০২১ সালে এ খাত থেকে ফরাসি জ্বালানি চাহিদার প্রায় ১ শতাংশ পূরণ হয়েছে। এ বছর কমপক্ষে ২ শতাংশে উন্নিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২০৩০ সালের মধ্যে যদি এ খাত থেকে প্রাপ্ত গ্যাস থেকে ফ্রান্সের মোট চাহিদার ২০ শতাংশ পূরণ করা যায়, তাহলে তা হবে রাশিয়া থেকে গত বছর আমদানি করা গ্যাসের চেয়ে বেশি।

প্যারিসের সোনচাম্প অঞ্চলের কৃষকরা মনে করেন, তাদের নতুন গ্যাস প্ল্যান্ট ক্রেমলিন থেকে ইউরোপকে মুক্ত করতে কিছুটা হলেও কাজ করবে।

স্থানীয় বায়োগ্যাস প্ল্যান্টের ছয় বিনিয়োগকারীর একজন ক্রিস্টোফার রবিন বলেন, যারা আমাদের বন্ধুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে তাদের কাছ থেকে গ্যাস কেনা যুক্তিসঙ্গত নয়। শক্তি অর্জন করতে চাইলে গ্যাসের প্রবাহ এড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।

যদিও ইউরোপের বাকি দেশগুলোর তুলনায় ফ্রান্সে বায়ো-মিথেনের উৎপাদন এখনও বেশ কম। তবে তাদের প্রক্রিয়া চলমান। প্রতি সপ্তাহে গড়ে তিনটি বায়ো-মিথেন প্ল্যান্ট উৎপাদনে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে যেখানে মাত্র ৪৪টি প্ল্যান্ট ছিল, চলতি বছর সেই সংখ্যা ৩৬৫ তে দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সালে আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ প্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।