মিরপুরে বসছে বাড়তি উইকেট, দরকার ২০ স্টেডিয়াম

ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিলে সারা বছরই ব্যস্ত থাকে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। হোম অব ক্রিকেটের উইকেটের মান নিয়ে উচাটন আছে সবার মনে। বিসিবির বক্তব্য, বছরজুড়ে টানা খেলা চলায় উইকেটের মান ঠিক রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।

কথা বলছেন বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম

মাঠের সংকট, মান সম্পন্ন উইকেটের অভাব নিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই আলোচনা চলছে। এবার সেই সংকট কাটানোর উদ্যোগ নিচ্ছে বিসিবি।

মিরপুর স্টেডিয়ামে বর্তমানে আটটি উইকেট রয়েছে। এখন সেন্টার উইকেটের বাইরে আরও চারটি উইকেট তৈরি করছে বিসিবি। শ্রীলঙ্কা সিরিজের পরই শুরু হবে এই কার্যক্রম। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেও সেন্টার উইকেটের বাইরে দুটি উইকেট বসানো হয়েছে। সংস্কার কাজ, উইকেট নির্মাণের কাজ হবে বগুড়া, রাজশাহীতেও।

মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়াম

বিসিবির কর্তাদের ভাষ্যমতে, দেশের ক্রিকেটের চাহিদার পূরণে অন্তত ২০টি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম প্রয়োজন। বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম জানিয়েছেন এসব তথ্য।

বিসিবির এ পরিচালক বলেন, ‘এই সিজনের পরেই আমরা উন্নয়নের কাজে হাত দেব। সে অনুযায়ী এই অফ সিজনে যে কাজগুলো করতে যাচ্ছি, সেটা হলো মিরপুরে অনুশীলনের জন্য সেন্টারে আরো চারটি উইকেট তৈরি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে আমরা কাজে হাত দিব।’

তিনি আরও বলেন, ‘মিরপুরে বিভিন্ন সময় জাতীয়সহ অন্যান্য দল অনুশীলন করে থাকে। তাতে সেন্টারে আমাদের যে আটটি উইকেট আছে, সেগুলো ইফেক্টেড হয়। ফলে লোকাল খেলাগুলোর জন্য আমরা ভালো উইকেট দিতে পারি না। পরিকল্পনা অনুযায়ী সেন্টারে আমরা দুই দিকে আট-আট করে ১৬ ফিটের আমরা আরো চারটি উইকেট করব, যেগুলো অনুশীলনের জন্য ব্যবহার করা হবে।

‘এ বছরে আমাদের পরিকল্পনা, মিরপুরের অ্যাডিশনাল উইকেট এবং রাজশাহী আর বগুড়া- এই তিনটা ভেন্যুকে সম্পূর্ণরূপে আপডেট করব।’

নতুন মাঠের জন্য জমি ক্রয়ের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে বিসিবি। মাহবুব আনাম বলেন, ‘ইতোমধ্যে ঢাকায় বেশ কিছু মাঠ ক্রয়ের ব্যাপারে কথা হয়েছে। আমরা জায়গা পরিদর্শন করেছি। বাছাই শেষ হলে আগামী বোর্ড মিটিংয়ে হয়তো সেগুলো ক্রয়ের জন্য পরিকল্পনা পেশ করব। আমাদের ইচ্ছা ঢাকায় যাতে ছয়টি উন্নত মানের ভেন্যু থাকে। তাতে ঢাকায় যে পরিমাণ খেলা হয়, সেগুলো যাতে সুন্দরভাবে করা যায়। আমাদের যে পরিমাণ খেলা তাতে ২০টা আন্তর্জাতিক মানের মাঠ তৈরি করতে হবে।