চীনের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশ চায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশে সফররত চীনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চীনের বাজারে বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশের প্রস্তাব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-চায়না বিজনেস ফোরামে বক্তব্যকালে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ কথা জানান।

শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চীনা রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে ২৭টি বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, আঞ্চলিক এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে চীন বিশ্বের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দেশ। এই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান আমাদের দেশে এসেছেন, এটি একটি বড় অর্জন। তার এই সফরে দুই দেশের মধ্যে মোট ২৭টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমু্ক্ত ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধার প্রস্তাব করেছেন। ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’র ক্ষেত্রে চীনের রাষ্ট্রপতি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন।

চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যঘাটতি এখন প্রায় ৮৮৪ কোটি ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ চীনে রফতানি করেছে ৮০ কোটি ৮১ লাখ ডলারের পণ্য। অন্যদিকে চীন বাংলাদেশে রফতানি করেছে ৯৬৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-চায়না বিজনেস ফোরামের বৈঠক শেষে চীনের ১৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশের ১৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ১৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি হবে। এর ফলে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে বন্ধুত্ব আরো দৃঢ় হবে।

বিকেলে শুরু হওয়া এই বৈঠকটি চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এতে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা পরস্পরের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

আব্দুর রাজ্জাক: যুদ্ধাপরাধী পরিবারের কারও আ.লীগে স্থান নেই

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: র‍্যাব-পুলিশে কোনো দ্বন্দ্ব নেই

চীনের প্রেসিডেন্টের সাথে খালেদা জিয়ার বৈঠক

ওবায়দুল: আগামীর নেতৃত্ব হবে অভিজ্ঞতা ও আধুনিকতার মিশেল

ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী