আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার ধাক্কা মধ্য এশিয়াতেও

আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের বিরুদ্ধে দেওয়া আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতেও আঘাত করছে। কারণ মধ্য এশিয়া থেকে তালেবান সরকার বিদ্যুৎ আমাদানি করে তার অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না। ইউরেশিয়ানেটের এক বিশ্লেষণে এ তথ্য উঠে এসেছে। নেফতেগাজ আরইউ নিউজ।

বিদ্যুৎ, প্রতীকী ছবি

তালেবান সরকারের জ্বালানি ও পানি মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আখতার মোহাম্মদ নুসরাত বলেছেন, আফগানিস্তানকে চাহিদার ৮০ শতাংশের বেশি বিদ্যুৎ উজবেকিস্তান থেকে আমদানি করতে হয়। এজন্য দেশটির বার্ষিক খরচ পড়ে প্রায় ২২০ মিলিয়ন ডলার।

মার্কিন কংগ্রেসের তৈরি নজরদারি সংস্থা স্পেশাল ইন্সপেক্টর জেনারেল ফর আফগান রিকনস্ট্রাকশনের তথ্যমতে, আফগানিস্তানে বৃহত্তম বিদ্যুৎ সরবরাহকারী দেশ উজবেকিস্তান। চলতি বছর আফগানিস্তানের আমদানি করা বিদ্যুতের প্রায় অর্ধেক এসেছে উজবেকিস্তান থেকে এবং বাকি অংশের বেশি এসেছে তাজিকিস্তান থেকে।

মানচিত্রে আফগানিস্তান

ঘানি সরকার উৎখাত করে আফগানে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার আগে উজবেকিস্তানের সাথে আফগানিস্তানের দীর্ঘমেয়াদী বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা প্রতি বছর সমন্বয় করা হয়। উজবেকিস্তান এ বছর আফগানিস্তানকে ১০০ মিলিয়ন ডলারে ২ বিলিয়ন কিলোওয়াট/ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। আর তাজিকিস্তান ৬৯ মিলিয়ন ডলারে ১.৫ বিলিয়ন কিলোওয়াট/ঘণ্টা সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

খবরে বলা হচ্ছে, মধ্য এশিয়া থেকে বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ করা হলে ১ কোটিরও বেশি আফগান নাগরিক অন্ধকারে নিমজ্জিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি বা ইউএনডিপি এই সতর্কতা দিয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারিতে দ্য আফগানিস্তান ব্রেশনা শেরকাত বা ডিএবিএস পাওয়ার কোম্পানি তাজিকিস্তানকে ৬ মিলিয়ন ডলার পেমেন্ট করেছে। অথচ ২০২২ এর শুরুতে ঋণ ছিল ৩৩ মিলিয়ন ডলার।

ডিএবিএস-এর সাবেক প্রধান আমানুল্লাহ গালিব বলছেন, আফগানিস্তানের প্রতিবেশীদের জন্য ব্যাংকিং প্রক্রিয়ায় জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এর জন্য ইউক্রেনের সামরিক সংঘাত দায়ী। একইসাথে আফগানিস্তানের বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এবং সরকারি রাজস্বের তীব্র ঘাটতিও বড় সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে।