মিরপুরের উইকেটে লুকিয়ে বাংলাদেশের আশা

মুশফিকুর রহিম-লিটন দাসের জোড়া সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রান তুলেছে। জবাবে মঙ্গলবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে ১৪৩ রান করেছে ২ উইকেটে। দিমুথ করুনারত্নে ৭০ ও নাইটওয়াচম্যান কাসুন রাজিথা শূন্য রানে ব্যাট করছেন। এখনও ২২২ রানে পিছিয়ে অতিথি দল।

মিরপুরের উইকেটে লুকিয়ে বাংলাদেশের আশা

প্রথম ইনিংসে লিড পাওয়ার আশাই করছেন বাংলাদেশ দল। সেখানে মিরপুর স্টেডিয়ামের উইকেটের আচরণই সাহস যোগাচ্ছে টাইগারদের। অসমান বাউন্স আছে, তবে এখন খুব কম। লিটন দাসের মতে, ম্যাচের বয়স যত বাড়বে অসমান বাউন্স বাড়বে। তাই ম্যাচের লাগাম পেতে প্রথম ইনিংসে বড় লিড নেওয়ার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।

দুই দিন শেষে উইকেটের আচরণ সম্পর্কে লিটন মঙ্গলবার বলেছেন, ‘আনইভেন তো হয়েছে। সকালে যে ব্যাট করলাম প্রথম দুই বলই আনইভেন ছিল। মিরপুরের যে চিরায়ত রূপ উইকেটটা তারচেয়ে একটু ভালো। যত দিন যাবে তত আনইভেন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।’

চালকের আসনে থাকতে হলে চাই বড় লিড। মঙ্গলবার দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেছেন, ‘এখনও ওরা অনেক পিছিয়ে আছে। সকাল সকাল ২-১টা উইকেট নিয়ে নিতে পারলে আমাদের লিডের অনেকখানি সুযোগ থাকবে। প্রথম ইনিংস এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমাদের কাছাকাছি বা আমাদের ওপরে চলে যায় তাহলে আমরা ব্যাকফুটে চলে যাব। যত এগিয়ে থাকব আমাদের জন্য ভালো।’

চট্টগ্রামের পর মিরপুরেও লঙ্কান পেসাররা দাপট দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের ৯ ব্যাটসম্যান তাদের শিকার। রাজিথা প্রথমবার ৫ উইকেট নিয়েছেন, আসিথা পান ৪ উইকেট।

পরপর দুই দিন সকালে বাংলাদেশকে চাপে ফেলেছেন দুই লঙ্কান পেসার। প্রথম দিনে ২৪ রানে নেন ৫ উইকেট, দ্বিতীয় দিনেও তাদের দখলে ৪ উইকেট। আগামীকাল তৃতীয় দিনের সকালে তেমন সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের পেসারদের সামনে। এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদের কাছে এমন পারফরম্যান্স চাইছে টাইগার শিবির। লিটনের মতে, সকালে পেসারদের দায়িত্ব নিতেই হবে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘পেস বোলারদের সহায়তা গতকালও ছিল আজও ছিল। আমার মনে হয় না স্পিনারদের খুব একটা সহায়তা ছিল। তারপরও আমাদের স্পিনাররা যথেষ্ট ভালো করেছে। আমার মনে হয় আমাদের দুই পেসারকে দায়িত্বশীল হতে হবে। কিছু উইকেট বের করতে না পারলেও রান যদি আটকে রাখতে পারে।’