এক ম্যাচে ৯ ‘শূন্য’, লজ্জার রেকর্ডে বাংলাদেশ

মিরপুর টেস্টে দুই ইনিংসে ব্যাট করে ৫৩৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ দল। ১০ উইকেটে হেরে যাওয়া ম্যাচে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম সেঞ্চুরি করেছেন। ৯৮ তম টেস্ট হার, আরেকটি নিছকই হার মনে হতে পারে।

কিন্তু এই ম্যাচেই টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এক লজ্জার, বিব্রতকর রেকর্ডে নাম উঠেছে বাংলাদেশের। এক টেস্টে মোট ৯ ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হলেন। মিরপুর টেস্টে ঘটেছে এ ঘটনা।

শুক্রবার আসিথা ফার্নান্দোর বলে বোল্ড হয়েছেন বাংলাদেশের শেষ ব্যাটসম্যান খালেদ আহমেদ। যার মাধ্য দিয়ে ৯ ব্যাটসম্যানের ডাক মারার রেকর্ডে শামিল হলো বাংলাদেশ দল।

ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির দিকে এগিয়েছে টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ৩৬৫ রান, কিন্তু ২৪ রানে হারিয়েছিল ৫ উইকেট। এবং সেখানে বাংলাদেশের ৬ ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ৩ ব্যাটসম্যান রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হয়েছেন।

দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত থাকা এবাদত হোসেনও রানের খাতা খুলতে পারেননি। তিনি শূন্য রানেই অপরাজিত ছিলেন।

অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল এ টেস্টেই ‘পেয়ার’ পেয়েছেন। ক্যারিয়ারে প্রথমবার এমন অভিজ্ঞতা হলো তামিমের। পেয়ার পেয়েছেন খালেদ আহমেদও। নিজের মূল স্কিল বোলিংয়েও ব্যর্থ তিনি। দুই টেস্টেই উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি।

প্রথম ইনিংসে তামিম, জয়, সাকিব, মোসাদ্দেক, এবাদত ও খালেন শূন্য রানে আউট হন। দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম, মুমিনুল ও খালেদ রানের খাতা খুলতে পারেননি।

এর আগে এক টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ৮ ব্যাটসম্যানের শূন্য রানে আউট হওয়ার নজির আছে, সেটি ২০১৮ সালে কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে।

এক ম্যাচে ৯ ব্যাটসম্যানের শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার নামও রয়েছে। ১৯৯০ সালে চন্ডিগড়ে ভারতের বিপক্ষে লঙ্কান ৯ ব্যাটসম্যান শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেছিলেন। ২০২০ সালে ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে উইন্ডিজদের ৯ ব্যাটসম্যান আউট হন শূন্য রানে।