ডোমিঙ্গো বলছেন, কিছু পরিবর্তন দরকার

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একমাত্র টেস্টেই বাংলাদেশের পারফরম্যান্স সবচেয়ে বেশি নাজুক। ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাটে টাইগাররা দিকভ্রান্ত। গত ২২ বছরেও এ ফরম্যাটে প্রতিষ্ঠিত দল হিসেবে গড়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ।

ডোমিঙ্গো

ব্যাটিংয়ের ভেঙে পড়ার ছবিটা এত বছরেও ম্লান হয়নি। ১৩৫ টেস্ট খেলে ফেললেও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা পরিণত হতে পারেননি। এখনও ভয়াবহ বিপর্যয় নামে ব্যাটিং লাইনে। ঘরের মাঠে, দেশের বাইরে ইনিংসের শুরুতে দ্রুতলয়ে উইকেট হারানো, দ্বিতীয় ইনিংসে নজিরবিহীন ব্যর্থতা থেকে বের হতে পারছে না বাংলাদেশ দল।

এই যেমন মিরপুর টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসেছিল মুমিনুল হকের দল। দ্বিতীয় ইনিংসেও অবস্থা তথৈবচ। এবার ২৩ রানে নেই ৪ উইকেট। ম্যাচটাও ১০ উইকেটে হেরেছে স্বাগতিকরা।

এমন পারফরম্যান্স বারবার দেখে বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর উপলব্ধি যে, টেস্ট দলে কিছু পরিবর্তন দরকার। যেখানে ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তনসহ নানা কিছুই আসতে পারে।

শুক্রবার ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ডোমিঙ্গো বলেন, ‘আমাদের ভিন্ন কিছু করতে হবে। হয়তো ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন করতে হবে। দুই ইনিংসেই যখন ২৪ রানে ৫টি, ২৩ রানে ৪টি উইকেট পড়বে, আপনি তখন কোনোভাবেই টেস্ট জিতবেন না। এসব বিষয় আমাদের দেখতে হবে এবং কিছু পরিবর্তন করতে হবে। শেষ ৬ থেকে ৮ মাসে এটা খুব বেশিবার ঘটেছে। হয়তো ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন বা ১-২টা পরিবর্তন, আমাদের এটা করতে হবে সামনে এগিয়ে যেতে।’

যে কোনো দলেরই খারাপ সময়, বাজে সেশন কাটে। বাংলাদেশ দলও ব্যতিক্রম নয়। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেটি হয় ব্যর্থতা, বাজে সময়টা ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। যে অবস্থা থেকে আর ম্যাচে ফেরা যায় না।

ডোমিঙ্গো সেই বিষয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা ভালো অবস্থানে ছিলাম, আমাদের একটা বাজে সেশন গেছে। আমরা চারদিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি এবং তারপর এমন বাজে একটা সেশন যে, আর ফেরার পথ থাকছে না। আমি নিশ্চিত এটা খেলোয়াড়দের জন্যও খুব হতাশাজনক। তারা লড়ছে, কিন্তু কিছু জায়গায় ম্যাচে পিছিয়ে পড়ছে।’