স্পিন উইকেটে খেলেই ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশের!

চন্ডিকা হাথুরুসিংহেই ফর্মুলা দিয়েছিলেন। লঙ্কান এই কোচের কৌশল বাস্তবায়ন করেই স্পিনিং উইকেট বানাতো বাংলাদেশ। র‌্যাংক টার্নার বানিয়ে ২০১৬-১৭ সালে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া বিপক্ষে টেস্ট জিতেছিল টাইগাররা। কদাচিৎ ২-১টা জয় পেলেও এত বছরে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট আগের জায়গাতেই রয়ে গেছে।

ডোমিঙ্গো

সম্প্রতি দেশের মাটিতেও ভালো স্পোর্টিং উইকেটে টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান সিরিজ এবং এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে স্পোর্টিং উইকেটে টেস্ট সিরিজ খেলছে টাইগাররা। যেখানে মূলত ব্যাটসম্যানরাই সুবিধা পেয়েছেন। স্কিল প্রয়োগ করতে পারলে বোলাররাও উইকেট নিতে পেরেছেন। এমন উইকেটেই টেস্ট খেলা উচিত বলে মনে করেন বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তার মতে, তাতেই ভালো একটি টেস্ট দল গড়ে উঠবে।।

এই প্রোটিয়া কোচ শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাময়িক সাফল্যের আশায় স্পিনিং উইকেট বানিয়ে টেস্ট খেলার ওই চর্চাই বাংলাদেশের ক্ষতি করেছে।

মিরপুর ও চট্টগ্রাম টেস্টের উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ হেড কোচ বলেন, ‘খুব ভালো উইকেট ছিল ব্যাটিং এবং বোলিংয়ের জন্য। একজন ফাস্ট বোলার ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছে। সাকিব ৫ উইকেট পেয়েছে। আমরা উইকেট নিয়ে অভিযোগ করতে পারি না। এটা এমন ধরনের উইকেট যেখানে আপনার স্কিলের উন্নতি হবে।’

হাথুরুসিংহের অধীনে স্পিনিং উইকেটে খেলে ম্যাচ জয়ের কৌশল টেস্টে বাংলাদেশ দলকে পিছিয়ে দিয়েছে বলে উল্লেখ করে ডোমিঙ্গো বলেন, ‘এটা (স্পিনিং উইকেট) আপনাকে ১-২টা টেস্টে সাহায্য করতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদের উন্নতিতে সাহায্য করবে না। অতীতের টেস্টগুলোর প্রতি সম্মান জানিয়ে বলছি, হয়তো হয়তো সেগুলোই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা হচ্ছে।’

বাংলাদেশের কোচ আরও বলেন, ‘আমি ভালো উইকেটের পক্ষেই কথা বলছি। যদি আমরা মনে করি আমরা বাজে উইকেট বানাব, তখন দেশের বাইরে জেতার সুযোগ থাকবে না। দুইটা উইকেটই এবার ভালো ছিল। তারা ভালো করেনি কারণ তারা বাজে উইকেটে খেলে অভ্যস্ত। ভালো উইকেটে খেললে দীর্ঘ মেয়াদে আপনার উন্নতি হবে।’