৪৮ মিলিয়ন ডলার সহায়তা পাচ্ছে শ্রীলঙ্কা

পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, সাম্প্রতিক সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকট ও ঘাটতির মধ্যে খাদ্য, কৃষি এবং স্বাস্থ্য খাতে সাহায্য করার জন্য জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী জনসাধারণের কাছে আবেদন জানিয়েছে। চার মাসের এ প্যাকেজে জাসিংঘের এ সহায়তার পরিমাণ হতে পারে ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। খবর এপি, চ্যানেল নিউজ এশিয়া।

রনিল বিক্রমাসিংহে

বিক্রমাসিংহে আরও বলেন, আগামী তিন সপ্তাহের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া কঠিন হবে এবং জনগণকে ঐক্যবদ্ধ এবং ধৈর্য ধরতে হবে। যতটা সম্ভব সতর্কতার সাথে অর্থ খরচ ও জিনিসপত্রের ব্যবহার এবং অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন।

বিক্রমাসিংহে বলেন, আগামী তিন সপ্তাহ সময়ের মধ্যে জ্বালানি ও গ্যাস মজুদ করার কথা চিন্তা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বাধা ছাড়াই এ সময়ে জ্বালানি ও খাদ্য সরবরাহ করার চেষ্টা করা হবে। এটি নিশ্চিত করার জন্য সংশিষ্টদের সাথে আলোচনা চলছে।

খবরে বলা হচ্ছে, দেউলিয়া প্রায় দ্বীপরাষ্ট্রটিকে ২০২৬ সালের মধ্যে ২৫ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে হবে। চলতি বছরই পরিশোধ করতে হবে ৭ বিলিয়ন ডলার। শ্রীলঙ্কার মোট বৈদেশিক ঋণ ৫১ বিলিয়ন ডলার।

এদিকে লঙ্কান কর্তৃপক্ষ একটি অর্থ প্যাকেজের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাথে আলোচনা শুরু করেছে। বিক্রমাসিংহে আইএমএফকে ঋণদানকারী অংশীদারদের একত্রিত করার জন্য একটি সম্মেলন ডাকার কথা বলেছেন।

রনিল বলেন, ভারত, চীন এবং জাপানের নেতৃত্বে এই ধরনের সম্মেলন আয়োজন করা আমাদের দেশের জন্য একটি বড় শক্তি হবে। চীন এবং জাপানের বিভিন্ন ঋণ পদ্ধতি রয়েছে। আমাদের আশা, এই ধরনের কনফারেন্সের মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার পদ্ধতির বিষয়ে দেশগুলো কিছু ঐকমত্যে পৌঁছতে পারে।

রনিল আরও বলেন, টিকে থাকার জন্য আগামী ছয় মাসে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন হবে। গত বছর কৃষিকাজে রাসায়নিক নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে ধানের উৎপাদন অর্ধেক হয়ে গেছে। যদিও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সার কেনার জন্য তহবিলের অভাব ভবিষ্যৎ ফলনকেও হুমকির মধ্যে ফেলেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাসায়নিক সার আমদানি করতে বছরে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়। আমরা আমাদের রপ্তানি ফসলের আন্তর্জাতিক বাজার হারাচ্ছি। এ অবস্থা থেকে উতরাতে এখনই প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে হবে।।