বাংলাদেশসহ পাঁচ দেশের জন্য সৌদির ‘রোড টু মক্কা’

করোনা মহামারির জন্য দুই বছর বন্ধ ছিল বিদেশি হজযাত্রীদের সৌদি গমন। হাতেগোনা কিছু মানুষ দিয়েই আয়োজন করা হয়েছিল গত দুইবারের হজের কার্যক্রম। পরিস্থিতি পাল্টেছে। এবার হজ পালন করবেন ১০ লাখ মানুষ। বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশের জন্য সৌদি সরকার ‘রোড টু মক্কা’ নামের বিশেষ এক আয়োজন করেছে। ফলে হজযাত্রীদের কষ্ট অনেকটুকু লাঘব হবে। খবর দ্য নিউজ।

স্বাগত জানানো হচ্ছে বাংলাদেশি হাজিদের

সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হজে পাঁচ দেশের হজযাত্রীদের আরামদায়ক পরিষেবা ও সুবিধা দিতে ‘রোড টু মক্কা ২০২২’ চালু করা হয়েছে। এ উদ্যোগের আওতায় রয়েছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও মরক্কো।

এক সরকারি বিবৃতিতে সৌদি সরকার জানায়, উদ্যোগটি যাত্রীদের যাত্রাপথের বিভিন্ন প্রক্রিয়াকে আরো সহজ করবে। এর ফলে বাঁচবে সময়, কমবে হয়রানি। হজ নিয়ে এক বিশেষ বৈঠকে সউদি আরবের ধর্মমন্ত্রী মুফতি আবদুল শাকুর জানান, এই উদ্যোগের আওতায় মূলত হজযাত্রীদের ই-ভিসা দেওয়া হয়, এরপর তাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে পাসপোর্ট প্রক্রিয়া শেষ হয়।

সৌদি আরবের রোড টু মক্কা

রোড টু মক্কার সবচেয়ে ভালো উদ্যোগ হল, এর মাধ্যমে যাত্রীকে তার ব্যাগ বা লাগেজের চিন্তা করতে হবে না। সৌদিতে অবতরণের পর হজযাত্রীরা যার যার ঠিকানায় চলে যাবেন, সেখানেই তারা তাদের ব্যাগ-মালপত্র পেয়ে যাবেন। সৌদি সরকার দেশের হজ ও ওমরাহ, স্বাস্থ্য, বিমান, যাকাত ও বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করছে।

এ বিষয়ে সম্প্রতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোড টু মক্কা উদ্যোগের মাধ্যমে হজ ব্যবস্থাপনাকে আরো সুন্দর, সহজ ও প্রযুক্তিনির্ভর করা সম্ভব হয়েছে। হজযাত্রীদের জন্য ডেডিকেটেড বিমান সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে। তাদের ইমিগ্রেশন ফরমালিটিজ ঢাকা থেকেই সম্পন্ন হচ্ছে। বিমান প্রি-হজে ৬৫টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর মধ্যে জেদ্দা রুটে ৫১টি ও মদিনা রুটে ১৪টি। এছাড়া চট্টগ্রাম-জেদ্দা রুটে ৯টি, চট্টগ্রাম-মদিনা রুটে দুটি, সিলেট-জেদ্দা রুটে দুটি ফ্লাইট পরিচালিত হবে। হজের পরেও ৬৫টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালিত হবে। জেদ্দা থেকে ৫১টি ও মদিনা থেকে ১৪টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চার হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন ব্যক্তি হজ পালন করবেন।