হামিদ আনসারি: চুপ থেকে পার পাবে না মোদি সরকার

মহানবীকে (সা.) নিয়ে দুই বিজেপি নেতার মন্তব্যে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো বিশ্ব। বিশেষকরে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর প্রতিক্রিয়ায় রীতিমতো আতঙ্কিত ভারতের বোদ্ধারা। আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে, ইস্যুটি নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখনও মৌনতা অবলম্বন করছেন। কিন্তু এতে শেষপর্যন্ত ভারত সরকার পার পাবে না বলে মনে করছেন দেশটির রাজনীতিক-কূটনীতিকরা।

হামিদ আনসারি ও নরেন্দ্র মোদি

গত এক সপ্তাহের ঘটনা পরিক্রমায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয় এবং বিজেপির ওই নেতাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ভারতের সাবেক উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি এ ঘটনায় মোদির নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর এই অবস্থান আগামী দিনগুলোতে ভারতকে আরো চাপের মুখে ফেলতে পারে। জাতিসংঘেও বিষয়টি নিয়ে সমস্যায় পড়তে পারে ভারত।

মূলত ওই ঘটনার জন্য যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে। তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। কোথাও কোথাও তাদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও তার প্রভাব পড়েনি আদৌ।

ভারতে বিক্ষোভ

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে অভিযুক্তদের দোষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। কেবল বলা হয়েছে, এ ধরনের মন্তব্য যারা করছে, তারা নেহাত প্রান্তিক শক্তি। ভারত সরকার সব ধর্মকে সম্মান করে।

হামিদ আনসারি মনে করছেন, ঘটনার তুলনায় এসব একেবারেই নগণ্য উদ্যোগ। রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ নিয়ে সমাধান করা উচিত ছিল। আরও আগেই এতে হস্তক্ষেপ করে ঘটনাটি শেষ করে দেওয়া উচিত ছিল প্রধানমন্ত্রী মোদির।

আনসারি বলেন, মোদি সরকার সমস্যাটির গভীরতা বুঝতে পারছে না। কারণ ইস্যুটি এখন কোনো একটি দেশের মধ্যে নেই। ওআইসির সদস্য সংখ্যা ৫৭। দেশগুলো একজোট হয়ে জাতিসংঘে ভারতের বিপক্ষে অবস্থান নিলে যে কোনো ইস্যুতেই চাপে পড়ে যাবে ভারত সরকার। বিষয়টি এখনকার জন্য যেমন প্রযোজ্য, তেমনি পরবর্তী সময়ের জন্যও চিন্তার বিষয়।

আনসারি পরিষ্কার ভাষায় বলেন, এটা তো কোনো ব্যক্তির ব্যাপার নয়। বিষয়টি বিশ্বের প্রতিটি মুসলিমকে প্রভাবিত করেছে। ফলে মুসলিম দেশগুলোর পক্ষ থেকে এই ধরনের প্রতিক্রিয়া আসাটাই স্বাভাবিক। এর বাইরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্যসহ নানা ধরনের বিষয় তো রয়েছেই।