মোস্তাফিজের গ্রিপ বদলে দিয়েছেন ডোনাল্ড

মূলত তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম একই সময়ে ইনজুরিতে পড়ার কারণে চাপ বেড়েছে মোস্তাফিজুর রহমানের ওপর। লাল বলের ক্রিকেটে ফিরতে হয়েছে তাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে শুধু টেস্টে ফেরা নয়, বল হাতেও বড় চ্যালেঞ্জ পাড়ি দিতে হবে কাটার মাস্টারকে।

মোস্তাফিজ ও ডোনাল্ড

বাংলাদেশে টেস্ট ক্রিকেট হয় কুকাবুরা ও এসজি বল দিয়ে। কিন্তু ক্যারিবিয়ানে টেস্ট ম্যাচ খেলা হয় ডিউক বলে। যার বাউন্স, সুইং কিছুটা বেশি। ১৬ মাস পর টেস্টে ফিরে তাই অনেক কিছুর সঙ্গেই মানিয়ে নিতে হবে মোস্তাফিজকে।

ডিউক বলে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন বাঁহাতি এ পেসার। দল যখন প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যস্ত তখন নেটে মোস্তাফিজকে নিয়ে কাজ করছেন বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। ডিউক বলে ভালো করার মন্ত্রই কাটার মাস্টারকে দিচ্ছেন আফ্রিকান এই সাবেক ফাস্ট বোলার।

মোস্তাফিজুর রহমান

অনুশীলনে ইতোমধ্যে নাকি মোস্তাফিজের গ্রিপ বদলে দিয়েছেন ডোনাল্ড। তাতে নাকি সুফলও পাওয়া যাচ্ছে। এমনটাই দাবি বাংলাদেশের বোলিং কোচের।

ডিউক বলে খেলার কৌশল জানাতে গিয়ে ডোনাল্ড বলেছেন, ‘এখানে বিষয়টা হলো কুকাবুরা থেকে ডিউক বলে আসা। এই বল দিয়ে ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলে অভ্যস্ত আমি। যুক্তরাজ্যে টেস্ট ক্রিকেট এই বলেই হয়।’

এই বলের বিশেষত্ব এবং নতুন কারো জন্য কাজটা কতটা চ্যালেঞ্জিং সেটি জানিয়ে এই প্রোটিয়া কোচ বলেছেন, ‘ডিউক বলের সিম খুবই শক্ত ও উজ্জ্বল থাকে। এই বলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে অনেক কাজ করতে হয় যেমনটা আমরা আগে দেখেছি।’

ডিউক বলের টোটকা মোস্তাফিজকেও দিয়েছেন ডোনাল্ড। গ্রিপ বদলে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘ফিজের সঙ্গে একটি সেশন করলাম। আইপিএলের পর এটিই তার প্রথম। তাকে এই বল সম্পর্কে কিছু ধারণা দিলাম। সে এবারই প্রথম এই বল নিয়ে কাজ করলো। তার গ্রিপ হালকা বদলেছি। তো প্রথমবার হিসেবে তার মনে হয়েছে এটি খুব কাজে দেয়।’

প্রস্তুতি ম্যাচে এবাদত, খালেদদের বোলিংয়ে প্রখর নজর রাখতে হচ্ছে ডোনাল্ডকে। কারণ ডিউক বলে অনভ্যস্ততা যে বাংলাদেশের সব বোলারের রয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে (ডিউক বলে কেমন হয়) দেখার সুযোগ থাকছে। এই বলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমাদের বেশ কাজ করতে হবে।’