রিফাত ৫০ হাজার ৩১০, সাক্কু ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর বিজয়ের ধারাকে উল্টে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। বুধবার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে বেসামরিকভাবে জয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী। দীর্ঘ দিন পর একটি ব্যতিক্রম শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রত্যক্ষ করল কুমিল্লা নগরী। দুই মেয়র প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ছিল মাত্র ৩৪৩। মোট পাঁচ মেয়র প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

রিফাত ৫০ হাজার ৩১০, সাক্কু ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট

রিফাত নৌকা প্রতীক নিয়ে এবং সাক্কু টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী ১০৫টি ভোট কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন। সেখান থেকে দেখা যায়, রিফাত পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট এবং তার নিকটতম প্রার্থী সাক্কু পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট।

প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় সাক্কু নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। তার দাবি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। কয়েকটি কেন্দ্রের ফলাফলে কারচুপি করে পরিকল্পিতভাবে তাকে অপদস্থ করা হয়েছে।

এর আগে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটিং মেশিনে কারিগরি ত্রুটি ও ধীরগতির ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হয় ভোট গণনা। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

সকাল সোয়া ৯টার দিকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট হাইস্কুলে ভোট দেন রিফাত। নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশে সন্তোষ প্রকাশ করে সে সময় তিনি বলেন, নিজের জয়ের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।

স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু নগরীর হোসামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল ৯টার দিকে ভোট দেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সে সময় সাক্কু বলেন, নির্বাচন হলে তিনি জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথম দুটি নির্বাচন হয় যথাক্রমে ২০১১ ও ২০১৭ সালে। দুটি নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন মনিরুল হক সাক্কু। দুটি নির্বাচনেই তিনি বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে এবারের নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি।

গত ১৯ মে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় সাক্কুকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে বিএনপি। সাক্কু নিজেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য দল থেকে পদত্যাগ করেন।