‘নাশকতার আশঙ্কা’ সত্ত্বেও রকেট উৎক্ষেপণ করছে ইরান

মহাকাশ কর্মসূচিতে নানা ধরনের নাশকতার আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও কঠিন জ্বালানিযুক্ত রকেটের একটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ পরিচালনা করতে যাচ্ছে ইরান। তেহরান এটিকে কেবল উপগ্রহের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে দাবি করলেও ইরানের সমালোচকরা বলছে, এটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে। খবর আরব নিউজ।

ইরানের একটি রকেট লঞ্চিং প্যাড

গতকাল বুধবার ইরান জানায়, তেহরানের মহাকাশ কর্মসূচিতে নাশকতা করতে পারে ইসরায়েল- এমন আশঙ্কা এবং তার প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তারা নতুন এই রকেটের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করতে চায়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আহমেদ হোসেইনি বলেছেন, জুলজানাহ রকেটের তিনটি ধাপের প্রতিটি উৎক্ষেপণেই বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে। 

রকেট উৎক্ষেপণ

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, ইরানের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবকে লঙ্ঘন করেছে। একইসঙ্গে তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কিত যে কোনো ধরনের কর্মকাণ্ড চালানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ইরান ধারাবাহিকভাবে উত্তেজনা বাড়াতে এ পন্থা বেছে নিয়েছে। পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর রব লোডেউইক বলেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী ইরানের কার্যকর মহাকাশ উৎক্ষেপণ প্রযুক্তি এবং কীভাবে এটি তার সামগ্রিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির অগ্রগতির সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, তার পুরোটাই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।

তিনি আরো বলেন- ইরানের আগ্রাসন, তার বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির দ্বারা সৃষ্ট প্রদর্শিত হুমকি ইত্যাদি এই অঞ্চলে আমাদের বাহিনীর জন্য একটি শীর্ষ উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইরানের মহাকাশ উন্নয়ন কর্মসূচি নানা ধরনের সমস্যায় জর্জরিত। এর আগে পরপর পাঁচটি উৎক্ষেপণ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইমাম খোমেনি স্পেসপোর্টে ঘটা অগ্নিকাণ্ডে তিনজন গবেষক নিহত হন এবং একই বছরের আগস্টে একটি বিস্ফোরণে লঞ্চ প্যাডটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া সম্প্রতি ইরান দাবি করেছে, মহাকাশ কর্মসূচিতে কাজ করা বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা গত কয়েকদিনে নিহত হয়েছেন।