কাজ করছে না মোবাইল নেটওয়ার্ক, পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট বিভাগের ৮০ শতাংশ এলাকা এখন পানির নিচে। সুনামগঞ্জের ৯০ শতাংশ এলাকা ডুবে গেছে। ১৬ উপজেলার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় অচল হয়ে পড়েছে মোবাইল নেটওয়ার্ক। কিছু কিছু জায়গায় দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ না থাকায় জেনারেটর চালিয়ে ব্যাকআপ দেওয়া হচ্ছে। কোথাও কোথাও জেনারেটরের তেলও ফুরিয়ে গেছে।

সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি

শুক্রবার (১৭ জুন) ভোর থেকেই সুনামগঞ্জ সদর মোবাইল নেটওয়ার্কের বাইরে। ১৬ ঘণ্টায় সদর এলাকার কারোর সঙ্গে মোবাইলে সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকায় বিকল হয়ে পড়েছে মোবাইল অপারেটরের টাওয়ারগুলোর ব্যাকআপ পাওয়ার সাপ্লাই।

মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় বন্যা কবলিত এলাকার লোকজন মেবাইলে কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ও দেশের বাইরে থেকে লোকজন জানাচ্ছেন, শুক্রবার ভোর থেকেই তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। যে নাম্বারেই কল করা হচ্ছে বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় স্বজনদের নিরাপত্তা নিয়ে তারা ভীষণ দুশ্চিন্তায় আছেন।

মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মোবাইল অপারেটরগুলো। তারা জানিয়েছে, পোর্টেবল জেনারেটর দিয়ে পরিস্থিত সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে বিশেষ টিম কাজ করছে।

মোবাইল অপারেটরদের পাশাপাশি পোর্টেবল রাউটার দিয়ে বিটিএস চালু রাখার মাধ্যমে উঁচুস্থানে র‌্যাক ও সার্ভার বসিয়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালুর রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

সিলেট-সুনামগঞ্জে দ্রুত টেলিযোগাযোগ সেবা চালু করতে না পারলে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সুনামগঞ্জে সকাল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে বিটিএসগুলো পাওয়ার ব্যাকআপ দিতে পারছে না। এর ফলে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দ্রুত সুনামগঞ্জে টেলিযোগাযোগ ইন্টারনেট সেবা দিতে না পারলে আটকে পড়া মানুষরা যোগাযোগ করতে পারবে না, সেনাবাহিনীর রেসকিউ টিমকেও জানাতে সক্ষম হবে না। ফলে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে।