দেশের বৃহত্তম পাবলিক লাইব্রেরি 'সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগার'কে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হচ্ছে। বর্তমানে লাইব্রেরিটিতে নতুন-পুরাতন মিলিয়ে প্রায় সোয়া দুই লাখ বই সংরক্ষিত রয়েছে। এর মধ্যে যে বইগুলো কপিরাইটের আওতামুক্ত রয়েছে প্রাথমিকভাবে সেগুলোকে পিডিএফ করে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। আর যে বইগুলো কপিরাইটের আওতামুক্ত নয় সেগুলোকে শর্ত সাপেক্ষে পাঠদের জন্য অনলাইনে প্রকাশ করা হবে। সবমিলিয়ে গড়ে তোলা হবে দেশের সর্ববৃহৎ ‘ই-লাইব্রেরি’।

sufia

'অনলাইনে গণগ্রন্থাগারসমূহের ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এই কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে চলছে। গণগ্রন্থাগার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে এই প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রকল্পটির ব্যায় ধরা হয়েছে ২৯ কোটি ৫১ হাজার টাকা। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাস নাগাদ এই প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রকল্পটির দায়িত্বে রয়েছেন জাতীয় গণগ্রন্থাগারের উপ-পরিচালক মো. জিল্লুর রহমান। তিনি জানান, প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এ মাসের শেষ নাগাদ জাতীয় গণগ্রন্থাগারে ডাটা সেন্টার চালুর মাধ্যমে প্রকল্পের নানা কার্যক্রম দৃশ্যমান হতে শুরু করবে।

ই-লাইব্রেরি তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান এএইচএম কামরুজ্জামান জানান, এ প্রকল্পের আওতায় গণগ্রন্থাগারের কিছু কিছু বইয়ের ই-বুক তৈরি করা হবে এবং সকল বইয়ের তথ্য সমৃদ্ধ সফটওয়্যার বানানো হবে। সেখানে বইয়ের নাম লিখে সার্চ দিলে বইটি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। এজন্য গণগ্রন্থাগারের নিচ তলায় একটি ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে গণগ্রন্থাগারে সংরক্ষিত আছে এমন প্রায় ৪০ হাজার বইয়ের ই-বুক অনলাইনে প্রকাশ করা হবে। এছাড়া বাকি প্রায় পৌনে দুই লাখ বই ডাউনলোড করে পড়া না গেলেও, কিভাবে পাঠকরা তা ই-লাইব্রেরির ওয়েবে ঢুকে পড়তে পারেন সে ব্যাপারে গণগ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া, গণগ্রন্থাগারের ই-লাইব্রেরির সাথে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল লাইব্রেরিকে সংযুক্ত করে দেয়া হবে, যাতে পাঠকরা খুব সহজেই তাদের চাহিদা মোতাবেক বিভিন্ন বই পাঠ করতে পারেন।

ই-লাইব্রেরিটিতে বই ছাড়াও বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য যেমন- ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত বিভিন্ন আর্কাইভ পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

আগামী ২০১৯ সালের নভেম্বরের মধ্যেই প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন প্রকল্প পরিচালক মো. জিল্লুর রহমান। তবে প্রকল্পের বর্তমান বাজেট যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.