এমন মাহমুদুল্লাহকে তো জাতীয় দলেও দরকার

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইদানিং বল হাতে দেখাই যায় না মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে। তার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিলো অলরাউন্ডার হিসেবে। অভিষেক টেস্টে পেয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। তারপরও রিয়াদকে ইদানিং বল হাতে দেখা যায়ই না। বল হাতে নিলে তিনি কী করতে পারেন, তার একটা প্রমাণ দেখা গেলো পিএসএলে। এমন মাহমুদুল্লাহকে আসলে জাতীয় দলেও দরকার।

পিএসএলে রিয়াদ খেলছেন কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সে। গতকাল তার দল জিতেছে বড় ব্যবধানে। রিয়াদ হয়েছেন ম্যাচসেরা। তবে ব্যাট হাতে নয়, তিনি চমকে দিয়েছেন দারুণ কার্যকরী অফস্পিনে।

ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে মাহমুদুল্লাহদের প্রতিপক্ষ করাচি কিংস। ওপেনেং জুটিতেই ৬০ পেরিয়ে যায় তারা। পরিস্থিতি যখন ক্রমেই কোয়েটার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, তখনই অধিনায়ক সরফরাজ বল তুলে দেন রিয়াদের হাতে।

প্রথম বলে চার হজম করে শুরুটা সুবিধা করতে পারেননি তিনি। কিন্তু তাই বলে থেমে যাননি রিয়াদ। প্রথম ওভারে দুর্বোধ্য এক ফ্লাইটে পরাস্ত করেন কুমার সাঙ্গাকারাকে। স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে বিদায় নেন সাঙ্গা। ওপেনিং জুটি ভাঙার পর রিয়াদকে দিয়ে টানা চার ওভার করান সরফরাজ।

অধিনায়কের এই ভরসার দারুণ প্রতিদানও দেন মাহমুদুল্লাহ। চার ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে তুলে নেন করাচির প্রথম তিন ব্যাটসম্যান- সাঙ্গাকারা, বাবর আজম ও শোয়েব মালিককে। পরে চার বলে আট রান করে অপরাজিত থাকেন রিয়াদ। মাঠ ছাড়েন দলকে ছয় উইকেটে জিতিয়ে। এমন পারফর্ম্যান্সে ভর করে জিতে যায় মাহমুদুল্লাহর দল।

বল হাতে, টি-টোয়েন্টিতে এমন ঝলক আগেও দেখিয়েছেন রিয়াদ। গত বিপিএলে খুলনা টাইটান্সকে দুই ম্যাচে শেষ সাত ও ছয় রানের পুঁজি নিয়ে জিতিয়েছেন তিনি। মাহমুদুল্লাহর ওমন বোলিং এক কথায় অবিশ্বাস্য ছিলো। তারপরও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বল হাতে খুব একটা দেখা যায় না রিয়াদকে। ভবিষ্যতে কী যাবে?

সীমিত ওভারের ক্রিকেটের মাহমুদুল্লাহর বোলিং বাংলাদেশের নতুন শক্তি হয়ে উঠতে পারে। তবে তার জন্য নিয়মিত বলটা তার হাতে তো দিবে হবে!