ইমরুলের যে কথা ভড়কে দিতে পারে অসিদের

পেট কামিন্স ও জস হ্যাজলউড; বর্তমান ক্রিকেট দুনিয়ার দুই ভয়ঙ্কর বোলার। কদিন বাদে তাদের সামনে পড়তে হবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। তাদের মধ্যে আছেন ইমরুল কায়েসও। অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণ মোকাবেলা করার আগে একটু কি চিন্তিতই বাংলাদেশ— এমন প্রশ্ন নিশ্চয় অনেকের মনেই আছে। কিন্তু এর উত্তরে ইমরুল যা বলছেন, তা ভড়কে দিতে পারে অসিদেরও। যদিও তার কথাটা একেবারে ফেলনা নয়।

মঙ্গলবার অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন ইমরুল কায়েস। এ সময় তাকে অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। আপাত দৃষ্টিতে বাংলাদেশের উইকেটে পেসারদের জন্য তেমন কিছু নেই। তারপরও এমন উইকেটও ফুল ফোটানোর ক্ষমতা রাখেন কামিন্স-হ্যালউডরা। ইমরুলকে বলা হয় এভাবেই।

উত্তরে বাংলাদেশের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার তো আট বছর হয়ে গেছে। এতো দিনে প্রায় সব দলকেই খেলেছি। দুই বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকে খেলেছি। গত বছর ইংল্যান্ডকে খেলেছি। তাদের পেস আক্রমণও কিন্তু দুর্দান্ত। তাদেরকে যেহেতু খেলতে পেরেছি, তাহলে অস্ট্রেলিয়ার পেসাররাও তেমন সমস্যা করতে পারবে না। এদেরকেও আমরা ভালোভাবেই খেলতে পারবো— ইনশাল্লাহ।’

বাংলাদেশের আসার পর তামিম-ইমরুলদের নিয়ে নিশ্চয় খুব মনোযোগ দিয়েই ‘স্টাডি’ করছে অস্ট্রেলিয়া। তামিমকে তারা যতোটা গুরুত্ব দিচ্ছে, ততোটা গুরুত্ব পাওয়ার কথা ইমরুলেরও। কারণ টেস্টে তামিমের মতোই কার্যকর তিনি। প্রয়োজনের সময় ইমরুলও হয়ে উঠতে পারেন তামিমের মতোই ভয়ঙ্কর। সুতরাং অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের খেলা নিয়ে তার মন্তব্য আসলেই ভড়কে দিতে পারে খোদ অসিদের।

যার মন্তব্য ভড়কে দিতে পারে অস্ট্রেলিয়াকে, সেই ইমরুলের অবশ্য একাদশে জায়গাটা নিশ্চিত নয় আপাতত। গত নিউজিল্যান্ড সিরিজের ওয়েলিংটন টেস্টে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার পরের ম্যাচে, ক্রাইস্টচার্চে তার জায়গায় একাদেশে সুযোগ পান সৌম্য সরকার। ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গে সৌম্যকেই বেশি পছন্দ করছেন কোচ। ফলে ওপেনিংয়ের জায়গাটা হাতছাড়া হয়ে গেছে তার।

সৌম্য ওপেনিংয়ে আসার পর ইমরুলকে খেলতে হচ্ছে তিন নম্বরে। যে জায়গায় আবার তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মুমিনুল হক। সব ঠিকঠাক থাকলে অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও তিন নম্বরে হয়তো মুমিনুলকেই দেখা যাবে। কোচের দৃষ্টিতে অবশ্য এগিয়ে আছেন ইমরুলই। বাকিটা বোঝা যাবে ২৭ আগস্ট। এ দিন থেকে মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। সিরিজের শেষ ম্যাচ চার সেপ্টেম্বর থেকে চট্টগ্রামে।