বিশাল ব্যবধানে ভারতকে উড়িয়ে দিলো শ্রীলঙ্কা

লক্ষ্য ছিলো ১১৩ রানের। সেটা তাড়া করতে যে শ্রীলঙ্কার তেমন কষ্ট হবে না, এটা আগেই ধারণা করা হয়েছিলো। আসলেও হলো তাই। সাত উইকেট হাতে রেখে ভারতকে উড়িয়ে দিয়েছে লঙ্কানরা। যার মাধ্যমে ওয়ানডে সিরিজে উড়ন্ত শুরু হলো তাদের। 

তবে শুরুতে উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়েছিলো শ্রীলঙ্কা। ভারতের ইনিংসের ঝাঁঝই হয়তো এসে আঘাত করেছিল শ্রীলঙ্কার ইনিংসের শুরুর সময়টাতে! টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ভূতুরে ব্যাটিং করেছে রোহিত শর্মার ভারত। বিয়ের গুঞ্জন মাথায় নিয়ে শ্রীলঙ্কা সিরিজে ছুটি কাটাচ্ছেন নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কোহলির অনুপস্থিতিতে রোহিত শর্মা নেতা হিসেবে মাঠে নেমে ২ রান করে ফিরে যান ইনিংসের পঞ্চম ওভারে। ভারতের রান তখন দুই উইকেটে ২। ২০০১ সালের পর যেটা বাজে শুরুর নজির ভারতের।

সুরাঙ্গা লাগমালের পেসে অসহায় হয়ে দলীয় ১৬ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট হারায় ভারত। ১৯৮৩ সালের পর এতো কম রানে যেটা পঞ্চম উইকেট হারানোর ঘটনা ভারতের। একটা সময় ২৯ রানে সপ্তম উইকেট হারালে মনে হচ্ছিল নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বনিম্ন (৫৮) রানের রেকর্ড বুঝি হচ্ছে ভারতের। মহেন্দ্র সিং ধোনির স্বরণীয় প্রতিরোধে শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি।

একপ্রান্ত আগলে রেখে ৮৭ বলে ৬৫ রানের অসাধারন একটা ইনিংস খেলে ভারতের সংগ্রহটা একশ পেরিয়ে নিয়ে গেছেন ধোনি। শেষ পর্যন্ত ৩৮.২ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার আগে ১১২ রান তুলতে পেরেছে ভারত। সুরাঙ্গা লাকমাল ১০ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট দখল করেছেন।

পরে জবাব দিতে নেমে শ্রীলঙ্কা ১৯ রানে দুই উইকেট হারায়। তবে শুরুটা একই হলেও পরের সময়টাতে ভারতকে অনুসরণ করেনি শ্রীলঙ্কা। সদ্য ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গার যাতে বড় অবদান। ৪৬ বলে ৪৯ রান করেছেন থারাঙ্গা। এরপর আরেক সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ৪২ বলে ২৫ ও নিরোসান ডিকবেলা ২৪ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থেকে শ্রীলঙ্কার সাত উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছেন।

২০.৪ ওভারে গিয়ে তিন উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১১৪ রান তুলে ফেলেন শ্রীলঙ্কা। এই জয়টা তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে দিল শ্রীলঙ্কাকে।