গান শোনাই নিষিদ্ধ করে দিলেন হাথুরুসিংহে!

লঙ্কানদের কোচ হয়েই কঠোর নিয়ম-কানুন শুরু করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক কোচ হাথুরুসিংহে। প্রথম অনুশীলন শেষেই পেরেরাদের শৃঙ্খলা নিয়ে চটেছেন ভীষণ। দল নির্বাচনেও চান 'পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ'। ঘোষণা করেছেন, ২০১৯ বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে হলে, নিয়ম-শৃঙ্খলার আওতায় আসতে হবে। শুধু তাই নয়, অনুশীলন চলাকালীন ক্রিকেটারদের গান শোনাও নিষিদ্ধ করেছেন তিনি।

সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার জন্য ২০১৭ সালটা তাদের ক্রিকেট ইতিহাসের জঘন্যতম বছর। চলতি বছর ৫৭টি ম্যাচ খেলে ৪০টিতেই হেরেছে ম্যাথুস-পেরেরারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দলই হচ্ছে গত দুই দশকে শ্রীলঙ্কার সবচাইতে বাজে দল। হাথুরু আশা করছেন দলের সার্বিক পারফরম্যান্স ভালো করতে হলে কঠোর নিয়মের মধ্যে আসতে হবে ক্রিকেটারদের। অনুশীলনে গান নিষিদ্ধ উল্লেখ করে কোচ হাথুরু বলেন, 'তারা যদি গানই শুনতে চায় তাহলে তাদের ফিরে যেতে হবে বাসায়।'

শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের এর আগে মোটা বলে মন্তব্য করেছিলেন দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী দয়াসিরি জয়াসেকারা। সে সময়ে জিম্বাবুয়ে সফরে যাওয়া কোন খেলোয়াড়ই নাকি ফিটনেসে পাশ করতে পারেননি। সম্প্রতি ভারতে নাস্তানাবুদ হওয়া দলটিও নিয়েও সন্তুষ্ট নন মন্ত্রী। এমন অবস্থায় হাথুরুসিংহের হাতে লঙ্কান দল। এ যেন, যেখানে বাঘের ভয়, সেখানে সন্ধ্যা হয়।

এদিকে বাংলাদেশের দায়িত্ব ছেড়ে শ্রীলঙ্কাতেও নির্বাচক প্যানেলে থাকতে চান হাথুরু। তবে দেশটিতে কোচ কখনোই নির্বাচক প্যানেলে ছিলেন না। তবে হাথুরু সেই সব নিয়ম মানতে নারাজ। আইনের সংশোধন করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, 'একাদশ বাছাইয়ে পূর্ণ স্বাধীনতা ও দায়িত্ব চাই।' বাংলাদেশের কোচ থাকাকালীনও নির্বাচক প্যানেলে ছিলেন হাথুরু।

বলা হয়ে থাকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচাইতে স্বাধীন কোচ ছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। অবশ্য দেশের সবচেয়ে সফল কোচও এই শ্রীলঙ্কান। ফলে স্বভাবত নিজ দেশেও স্বাধীনতা চান তিনি। বোর্ডও বিষয়টি বিবেচনা করছে। হাথুরুর হাত ধরে বদলে যাবেন পেরেরারা এই আশাই করছে লঙ্কানরা।