টগবগে আত্মবিশ্বাস নিয়ে সিরিজ জয়ের প্রত্যাশা সুজনের

সহকারী কোচ হিসেবে জাতীয় দলের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা তার আগেই ছিলো। এ ছাড়া ঘরোয়া পর্যায়েও কোচিং করানোর এবং বড় কিছু শিরোপা জেতার কীর্তিও আছে। জাতীয় দলের ম্যানেজার পদেও তার অভিজ্ঞতা যথেষ্টই সমৃদ্ধ। এবার টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পদ নিয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন আসলে পালন করতে যাচ্ছেন প্রধান কোচের দায়িত্ব। যে দায়িত্বকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন তিনি। সঙ্গে আছে টগবগে আত্মবিশ্বাস। সব মিলিয়ে আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিপক্ষিক সিরিজে জয়ের প্রত্যাশার কথাই বলছেন তিনি।

শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়েকে নিয়ে বাংলাদেশের ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু হবে জানুয়ারের ১৫ তারিখে। তার আগে এখন চলছে বাংলাদেশ দলের প্রাথমিক স্কোয়াডের অনুশীলন পর্ব। মঙ্গলবার অনুশীলনের পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন সুজন।

এ সময় নিজের নতুন দায়িত্ব নিয়ে তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলের টেকিনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে এটা আমার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। অবশ্যই এটা আমার জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ। ব্যক্তিগতভাবে আমি চ্যালেঞ্জ নিতেই বেশি পছন্দ করি।’

সুজন আরো বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ জয়ের পথে অনেক চাপ থাকবে। এখনও আছে। আসলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মানেই চাপ। এ ছাড়া আমাদের দেশের দর্শক সমর্থকদের পর্যায় থেকেও চাপ থাকে। তারা বাংলাদেশ দলকে সব সময় সমর্থন করে যান। দল ভালো খেললে তারা মাঠে উল্লাস, যা শেষ পর্যন্ত দলকেই অনুপ্রাণিত করে।’

ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের যে দুই প্রতিপক্ষ, তারা মোটামুটি ভালোভাবেই চেনা সাকিব-মাশরাফিদের কাছে। তারপরও সুজন মনে করেন দুই দলের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পরিকল্পনা থাকবে বাংলাদেশ দলের। সে সবের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে মূল একাদশ।

এ বিষয়ে সুজন বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে এক ধরনের ক্রিকেট খেলে, আর শ্রীলঙ্কা খেলে অন্য ধরনের ক্রিকেট। তাদের বিপক্ষে তাই আমাদের আলাদা পরিকল্পনা থাকবে। হয়তো এ কারণে দলেও কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। যদিও তা খুব বড় কিছু হবে না। আমাদের মূল কাজ হবে, যা পরিকল্পনা থাকবে তা মাঠে প্রয়োগ করে দেখানো। এটাই মূল ব্যাপার।’

সুজন মনে করেন, গত তিন বা সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশ দল ঘরের মাঠে যে ধরনের পারফর্ম করেছে, তাতে ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের না জেতার কোনো কারণ নেই। তার মতে, সাকিব-মাশরাফিসহ সিনিয়র যে ক্রিকেটাররা আছেন, তারাই এই সিরিজে বাংলাদেশের সাফল্যের মূল রূপকার হতে পারেন। সুজন এরই মধ্যে নিজের এমন টগবগে আত্মবিশ্বাস ছড়িয়ে দিয়েছেন দলের মধ্যেও। তার আগে মাশরাফি ও তামিমেরও সিরিজ জয়ের প্রত্যাশার কথা বলা নিশ্চয় সেটাই প্রমাণ করে!