রশিদ-মুজিব জুজুতেই শেষ বাংলাদেশ?

মুজিব উর রহমান বলতে করতে এলেন, একটা বলও খেলতে পারলেন না তামিম ইকবাল। তার চেয়ে আলোচিত রশিদ খান বল করতে এলেন, পরপর দুই বলে বিদায় মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রহমানের। রশিদ-মুজিব জুজুতেই কি পেয়ে বসলো বাংলাদেশকে?

না, জুজুটা এখন পায়নি, পেয়েছে সিরিজের আগেই। গত মাসে দলের অনুশীলন ক্যাম্প শুরুর পর থেকেই রশিদ খান ও মুজিব উর রহমানকে নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়েছে। কিন্তু খেলোয়াড়দের বিশেষ কোনো প্রস্তুতির কথা শোনা যায়নি। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তো রশিদ খান বিষয়ক প্রশ্নে বিরক্তিও প্রকাশ করে গেছেন।

রশিদ-মুজিব জুজুর চেয়ে বোধহয় বাংলাদেশ দলটা নিয়েই বেশি কথা বলা প্রয়োজন। আফগানিস্তান এই ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ১৫ ওভারে করে ৯৬ রান। পরের পাঁচ ওভারে তারা নেয় ৭১ রান। ১৪তম ওভারে এক রান দিয়ে দুই উইকেট নেয়া মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে একবারের জন্যও আর বল দেননি সাকিব আল হাসান।

যাদের তিনি বল দিয়েছেন, তাদের মধ্যে ছয় বছর পর কী এক কারণে দলে ফেরানো আবুল হাসান রাজু ও এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সামর্থ্য প্রমাণ করতে না পারা আবু জায়েদ রাহি তিন ওভারেই দিয়ে দেন ৫২ রান!

আবুল হাসানকে দলে অন্তর্ভুক্ত কেনো করা হয়েছে, এ নিয়ে প্রশ্ন ছিলো আগে থেকেই। উত্তরে প্রধান নির্বাচক আবুল হাসান ভালো স্লোয়ার করতে পারে বলে মন্তব্য করেছিলেন। অথচ গত কয়েক বছরে ঘরোয়া ক্রিকেটেও জাতীয় দলে খেলার দাবি তোলার মতো কোনো পারফর্ম নেই তার।

আবুল হাসান আজ তিন ওভারে দিয়েছেন ৪০ রান। রাহির খরচ তিন ওভারে ৩৪ রান। এ দুজনের এমন বোলিংয়েই ১৬৭ রানের মতো বড় স্কোর পেয়ে যায় আফগানিস্তান। জবাব দিতে নেমে যে ধরনের শুরু দরকার, তা দিতে ব্যর্থ হন তামিম। একদিন আগেই তিনি লর্ডসে বিশ্ব একাদশের হয়ে খেলে এসেছেন। বিমানযাত্রার ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলার আগেই তাকে নামতে হয় মাঠে।

সাকিব-মুশফিকও কিছু করতে পারেননি। ব্যর্থ ছিলেন নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে ৭৭ রান করা সাব্বির রহমানও। তাকে ও মুশফিককে পরপর দুই বলে ফেরান রশিদ খান এবং তার প্রথম দুই বলেই। অথচ তাকে সাবধানে খেলার জন্য কতো শত কথা বলেছিলেন মুশফিকরা।

দিন শেষে মুজিব-রশিদের বোলিংই কেবল নয়, দল নির্বাচন বা একাদশ নির্বাচনেও ছিলো বাংলাদেশের সমস্যা। রশিদ-মুজিবকে হয়তো পরের ম্যাচে খেলে ফেলা যাবে, কিন্তু বাংলাদেশ নিজেদের সমস্যা সমাধান করবে কিভাবে?