আশরাফুল এখন মুক্ত, স্বাধীন

অবশেষে শেষ হলো মোহাম্মদ আশরাফুলের দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞা। আজ ১৩ আগস্ট, ২০১৮ থেকে আবার সব ধরনের ক্রিকেটে ফেরার পথ খুলে গেলো এই ব্যাটসম্যানের সামনে। আশরাফুল এখন মুক্ত, স্বাধীন। ঘরোয়া পর্যায়ের সব ধরনের ক্রিকেটের পাশাপাশি তিনি এখন বিবেচিত হতে পারেন জাতীয় দলের জন্যও।

নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার দিন কয়েক আগেই জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক জানিয়ে রেখেছেন যে, আবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেয়াই তার প্রধান লক্ষ্য। একই সাথে আশরাফুল বলে রেখেছেন, আবার জাতীয় দলে ফিরতে পারলে সেটাই হবে তার জীবনের সেরা অর্জন।

গত দুই বছর ধরে আশরাফুল ঘরোয়া পর্যায়ে লিস্ট-এ ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু এখন আর ওই সীমাবদ্ধতা থাকছে না। ১৩ আগস্ট, ২০১৮ থেকে ওই দুই আসরের পাশাপাশি ফ্রেঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট বা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) মতো আসরেও খেলার অনুমতি পাবেন আশরাফুল।

আশরাফুলের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার সাথে সাথেই তাকে জাতীয় দলে ফেরানো নিয়ে কথা শুরু হয়ে গেছে। বিশেষ করে তার ভক্তদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা উত্তেজনা। অনেকে এশিয়া কাপেই তাকে জাতীয় দলে দেখতে চাইছেন!

আশরাফুলের জন্য জাতীয় দলে ফেরাটা সহজ হবে না বলেই মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন। রোববার সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, 'নিষেধাজ্ঞা মাত্র শেষ হচ্ছে। এখন তাকে ঘরোয়া পর্যায়ে অন্তত এক বছর খেলতে দিন, তারপর দেখা যাবে। তাকে পারফর্ম করেই জাতীয় দলে ঢুকতে হবে।'

তিনি আরো বলেন, 'জাতীয় দলের প্রতিটি জায়গায় যারা খেলছে, তারা সবাই প্রতিষ্ঠিত। এখন তাদের চেয়ে কেউ ভালো খেলে এবং ফিটনেস যদি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মতো হয়, তাহলে যে কারো সামনে সুযোগ আসতে পারে।'

আশরাফুল নিজেও জানেন তার সামনের পথ কতোটা কঠিন। তা মাথায় রেখে এর মধ্যেই অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন তিনি। জানা গেছে, আপাতত লন্ডনে নিজের ফিটনেস নিয়ে কাজ করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম দিকের এই তারকা।

উল্লেখ, ২০১৩ সালের বিপিএলে ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িয়ে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন আশরাফুল। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল তাকে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে। একই বছরের সেপ্টেম্বরে শাস্তি কমানোর জন্য আপিল করেন আশরাফুল। পরে তার তিন বছরের শাস্তি কমানো হয়।