পান্ডিয়া আগুনে পুড়লো ইংল্যান্ড

বড় সংগ্রহের আশা নিয়ে ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল ভারত। কিন্তু ২২ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসে বিরাট কোহলির দল গুটিয়ে গেছে ৩২৯ রানে। কিন্তু এমন শুরুর পরও দিন শেষে ভারত মাঠ ছেড়েছে একগাল হাসি নিয়ে। ১৬ উইকেট পতনের দিন শেষে চালকের আসনে বসেছেন কোহলি অ্যান্ড কোং।

সাড়ে তিনশর আগে গুটি যাওয়ার দুঃখটা ভারত ভুলে গেছে দুর্দান্ত বোলিংয়ে। ব্যাটসম্যানদের পর ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টে জ্বলে উঠেছেন ভারতীয় বোলাররাও। হার্দিক পান্ডিয়াদের তোপে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৬১ রানে গুটিয়ে গেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। এক সেশনে ইংলিশদের অলআউট করে ফের ব্যাটিংয়ে নেমেছে ভারত।

রোববার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ফিরতি ইনিংসে দুই উইকেটে ১২৪ রান করেছে ভারত। সফরকারীদের লিড ২৯২ রানের। ৩৩ রানে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেছেন চেতেশ্বর পূজারা। বিরাট কোহলি অজেয় ছিলেন ব্যক্তিগত ৮ রানে। শিখর ধাওয়ান ফিরে গেছেন ৪৪ রানে। লোকেশ রাহুল আউট হয়েছেন ৩৬ রানে।

এর আগে রোববার সকালে ছয় উইকেটে ৩০৭ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ভারত। আগের দিন ২২ রানে অপরাজিত থাকা অভিষিক্ত ঋষভ প্যান্ট সাজঘরে ফিরে গেছেন মাত্র দুই রান যোগ করেই। তার সঙ্গী রবিচন্দ্রন অশ্বিন আউট হয়েছেন ১৪ রানে। দুজনেরই ঘাতক স্টুয়ার্ট ব্রড। মোহাম্মদ শামি ও জাস্প্রিত বুমরাহ জিমি অ্যান্ডারসনের শিকারে পরিণত হয়েছেন।

ভারতকে চটজলদি গুটিয়ে দেয়ার পর প্রথম ইনিংসে শুরুটা ভালোই করেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু ৫৪ রানে উদ্বোধনী জুটি বিচ্ছিন্ন হতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ইংলিশদের ব্যাটিং লাইন। অবাক হওয়র বিষয় হচ্ছে- ইংল্যান্ডের টপ ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের প্রায় সবাই আউট হয়েছেন উইকেটে থিতু হয়ে।

কিন্তু অ্যালিস্টার কুক (২৯), কেয়াটং জেনিংস (২০), জো রুট (১৬), অলি পোপ (১০), জনি বেয়ারস্টো (১৫), বেন স্টোকস (১০) ও জস বাটলারদের (৩৯) মধ্যে কেউ ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। শেষের জন অবশ্য ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট চালাতে গিয়ে আউট হয়েছেন। ফেরার আগে ৩২ বলের ইনিংসে তিনটি চার ও দুই ছক্কা মেরেছেন বাটলার। ইংল্যান্ডের বাকি চার ব্যাটনম্যানের একজনও যেতে পারেননি দুই অংকে।

ইংল্যান্ডকে দ্রুত গুটিয়ে দেয়ার নায়ক পান্ডিয়া। এদিন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার দলকে উপহার দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। ইংলিশদের পতন হওয়া উইকেটের ৫টি তুলে নিয়েছেন পান্ডিয়া। বুমরাহ ও ইশান্ত শর্মা দুটি করে শিকার করেছেন। অন্য উইকেটের মালিক মোহাম্মদ শামি।