সাকিব-তামিম নেই, জারভিসের স্বস্তি

জিম্বাবুয়ের বাইরে হ্যামিল্টন মাসাকাদজারা আর কোন দেশটা খুব ভালো করে চেনেন? অবশ্যই বাংলাদেশ! কারণ এই দেশে বদ্বীপে যে প্রায় প্রতি বছরই খেলতে আসেন তারা। এ বছর শেষ হতে এখনো দুই মাসের সময় বাকি, এর মধ্যেই তাদের বাংলাদেশ সফর হয়ে গেছে দুইবার! দ্বিতীয় সফরটা শুরু হয়েছে আরো দুদিন আগে। কিন্তু অন্য যে কোনো সাম্প্রতিক সফরের চেয়ে এই সফরে জিম্বাবুয়ের মনোজগত কিছুটা হলেও ভিন্ন।

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ সফরে এসেই তাদের আগে ছক কষতে হতো সাকিব আল হাসানের স্পিন খেলায় সফল হওয়ার বাসনা নিয়ে, তাদের ছক কষতে হতো তামিমের ব্যাট থেকে বেঁচে থাকার পথ খুঁজতে। কিন্তু এবার তার কিছুই করতে হচ্ছে না। এ তো কাইল জারভিসের মুখে বাড়তি স্বস্তির কথা ফোটাবেই!

বৃহস্পতিবার অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন জিম্বাবুয়ের পেসার। এ সময় সাকিব-তামিম না থাকায় জিম্বাবুয়ের সুবিধা হবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি উত্তর দিলেন প্রায় কিছু না ভেবেই। ভাবার অবশ্য দরকারও ছিলো না!

‘হ্যা, তা তো অবশ্যই। সাকিব-তামিমের না থাকা অবশ্যই আমাদের সাহায্য করবে। কারণ তারা দুজন বাংলাদেশের সেরা দুজন ক্রিকেটার।’ অকপটে বলে দেন কাইল জারভিস।

বাংলাদেশে আসার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে দুটি সীমিত ওভারের সিরিজ হেরে এসেছে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু সেই হারের স্মৃতি এখন অতীত জারভিসের মনে। তিনি বরং বললেন যে জেতার বাসনা নিয়েই বাংলাদেশে পা ফেলেছেন তারা। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় খুব কঠিন সফর গেছে। কিন্তু আমরা এখানে এসেছি জেতার জন্য। আমরা মানসিকভাবেও ইতিবাচক থাকছি।’

জিম্বাবুয়ের ইতিবাচক মানসিকতা যে মাঠে নামলে কঠিন ধাক্কা খেতে পারে, সেটাও ভালো করে জানা যায় জারভিসের। বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০ ওয়ানডে খেলে ১৪টি উইকেট নেয়া পেসার বলেন, ‘বাংলাদেশ তাদের মাটিতে খুবই কঠিন প্রতিপক্ষ। দেশেরমাটিতে তারা বিশ্বের প্রায় সব বড় দলকেই হারিয়েছে। সুতরাং আমি মনে করি এই সিরিজ আমাদের জন্য কঠিন হবে।’

জিম্বাবুয়ের জন্য সিরিজটা কঠিন করে তুলতে পারেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। সাকিব না থাকলেও নাজমুল ইসলাম অপু, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বা ফজলে রাব্বি ঘুরিয়ে দিতে পারেন ম্যাচের মোড়। এ বিষয়েও জারভিসকে মনে হলো দারুণ সচেতন।

তিনি বলেন, ‘আপনি যখন বাংলাদেশে খেলতে আসবেন, তখন আপনার নিশ্চয় এটাও জানা থাকবে যে এখানে আপনি বিশ্বমানের স্পিনারদের খেলতে যাচ্ছেন। টার্নিং উইকেটে বাংলাদেশের স্পিনাররা দুর্দান্ত।’

শেষ পর্যন্ত জারভিসের কথায় এটাই প্রমাণ হয়েছে যে, সাকিব-তামিম নেই বলেই তারা খুশিতে বগল বাজানো শুরু করেননি; বরং এ দুজনকে ছাড়া যে বাংলাদেশ সেই দলের বিপক্ষে জিততে হলেও তাদের উজাড় করে দিতে হবে সব শক্তি। একদিন আগে ঠিক এ কথাটাই বলেছিলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদাজা- তার মতে, সাকিব-তামিম ছাড়াও এই বাংলাদেশ যথেষ্ট শক্তিমান।