লক্ষ্যটা কমিয়ে রাখলেন লিটন-ইমরুল

সিলেট টেস্টটা স্মরণীয় করে রাখতে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশকে করতে হবে ৩২১ রান। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে লক্ষ্যটা অবশ্য কিছুটা কমিয়ে রেখেছেন লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ২৬ রান যোগ করেছেন তারা। অর্থাৎ বাকি দুদিনে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৯৫ রান। তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হয় আলোকস্বল্পতার কারণে। সিলেটের আকাশে হঠাৎ মেঘ ভর না করলে আরো কয়েক ওভার খেলা হতো।

টেস্টের শেষ ইনিংসে তিনবার তিনশ করার কীর্তি আছে বাংলাদেশের। কিন্তু তার একটিতেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া হয়নি। কারণ লক্ষ্য ছিলো আরো বেশি। চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ২১৭ রান করে জয়ের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। অর্থাৎ সিলেটে জিততে হলে নিজেদের রেকর্ড নতুন করতে হবে মাহমুদুল্লাহদের।

বলা সহজ হলেও, কাজটা বাংলাদেশের জন্য মোটেও সহজ নয়। সিলেটের উইকেটে বোলাররা যদিও আহামরি কোনো সহায়তা পাচ্ছে না, তারপরও ইমরুল-লিটন-মুশফিকদের দিতে হবে কঠিন পরীক্ষা।

বাংলাদেশের এতোটা চাপে পড়ে যাওয়ার মূল কারণ প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতা। যখন বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় মাত্র ১৪৩ রানে। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে করে ২৮২ রান। অর্থাৎ একটি করে ইনিংস শেষেই জিম্বাবুয়ে এগিয়ে যায় ১৩৯ রানে।

দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ে করে ১৮১ রান। সব মিলিয়ে তাদের লিড দাঁড়ায় ৩২০ রান। বাংলাদেশের চাপে পড়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট ছিলো।

সিলেটে ব্যাটসম্যানরা এখন পর্যন্ত ম্লান থাকলেও বল হাতে বাংলাদেশ দারুণ সফল। বিশেষ করে তাইজুল ইসলাম। দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ১১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। যা এক টেস্ট ম্যাচের হিসেবে তার সেরা বোলিংয়ের নতুন রেকর্ড।

বাংলাদেশের মাত্র চতুর্থ বোলার হিসেবে এক টেস্টে ১০ উইকেট ও পরপর দুই ইনিংসে পাঁচ বা এর চেয়ে বেশি উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েছেন তিনি। এই যুগল কীর্তি তার আগে গড়েছেন কেবল এনামুল হক জুনিয়র, সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজ।