‘ডাবল সেঞ্চুরি’র অপেক্ষায় মাশরাফি

বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ২০০টি ওয়ানডে ম্যাচের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। রোববার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে অনন্য এই মাইলফলক ছুঁবেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই রোমাঞ্চটা ছুঁয়ে যাওয়ার কথা তাকে।

কিন্তু মাইলফলক নিয়ে ভাবছেন না বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক। মাইলফলকের রোমাঞ্চ আড়াল করে দলের জয় নিয়েই ভাবছেন তিনি। শনিবার সিরিজ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেছেন, ‘আমি আগেও বলেছি এসব আমাকে স্পর্শ করে না। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ কালকের (রোববার) ম্যাচ জেতাটা।’

২০০১ সালের ২৩ নভেম্বর চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষের ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে যাত্রা শুরু করেন মাশরাফির। বহু চড়াই-উৎড়াইয়ের এই যাত্রার দেড় দশক পূর্ণ করতে মাত্র দুই সপ্তাহ দূরে আছেন তিনি। দীর্ঘদিনের এই ক্যারিয়ারে মাশরাফি ম্যাচ খেলেছেন ১৯৯টি।

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর ম্যাচটা যে তার জন্য বিশেষ কিছুর উপলক্ষ্য সেটা মাশরাফি নিজেই ভুলে গিয়েছেন। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নকর্তাকে তাই ধন্যবাদ দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন মাশরাফি।

বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘ধন্যবাদ মনে করে দেওয়ার জন্য (২০০তম ওয়ানডে)। আসলে আমার খেয়াল ছিল না। এদিক থেকে ভালো লাগছে যে, ওয়ানডেতে অন্তত ২০০ ম্যাচ হচ্ছে। একটা সময় অবশ্যই ভালো লাগবে, যখন মানুষ বলবে, ‘‘তুমি বাংলাদেশের হয়ে ২০০টা ম্যাচ খেলেছো।’’ অবশ্যই এটা একটা অর্জন।’

অবশ্য মাশরাফির প্রায়সব ম্যাচ বাংলাদেশের পক্ষে হলেও দুটি ওয়ানডে তিনি খেলেছেন আফ্রো-এশিয়া কাপে এশিয়া একাদশের জার্সিতে। তাই বাংলাদেশের জার্সিতে ম্যাচ সংখ্যার ডাবল সেঞ্চুরির জন্য মাশরাফিকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ১৪ নভেম্বর, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে তৃতীয় ওয়ানডে পর্যন্ত।

বাংলাদেশের জার্সিতে সর্বোচ্চ ওয়ানডে খেলাদের মধ্যে মাশরাফির পেছনে আছেন যথাক্রমে মুশফিকুর রহিম (১৯৫), সাকিব আল হাসান (১৯২), তামিম ইকবাল (১৮৩), মোহাম্মদ আশরাফুল (১৭৫) এবং মহামুদউল্লাহ রিয়াদ (১৬৫)। ওয়ানডে অভিষেকের পর থেকে ১১১টি ম্যাচে খেলতে পারেননি মাশরাফি। তা না হলে সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যেতেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’।