অসাধারণ অ্যান্ডারসন: তিন দিনেই টেস্ট জয় ইংল্যান্ডের

হেডেংলি টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শুরুটা দারুণ ছিলো শ্রীলঙ্কার। ইংলিশ সমর্থকরা তাতে নিশ্চিতভাবেই হতাশ ছিলেন। কিন্তু টেস্টটা যেভাবে শেষ হলো, তাতে সেই হতাশার কথা তাদের ভুলেই যাওয়ার কথা!

প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ২৯৮ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। তবে ওই অল্প রানকেই লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের কাছে পাহাড়ের সমান উঁচু বানিয়ে ছাড়েন জেমস অ্যান্ডারসন। ১১.৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন পাঁচ উইকেট!

টেস্ট ক্রিকেটে এমন খুনে বোলিং শেষ কবে কে দেখেছিলো? উত্তর খুঁজতে গেলে ভালোই মাথা ঘামাতে হবে। উল্টাতে হবে পরিসংখ্যানের পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা।

অ্যান্ডারসনের আগুনে পেস বোলিংয়ের সামনে পড়ে মাত্র ৯১ রানে গুটিয়ে শ্রীলঙ্কা। অর্থাৎ ২৯৮ রানের জবাব দিতে গিয়েই ফলোঅনে পড়ে তারা। অ্যান্ডাসনকে যোগ্য সঙ্গ দেন স্টুয়ার্ট ব্রড। তিনি তুলে নেন চার উইকেট। পরে ফলোঅনে পড়ে আবার ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলঙ্কা।

কিন্তু প্রথম ইনিংসের ভয়টা আর তারা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। আবার পাঁচ উইকেট নেন অ্যান্ডারসন! এবার অবশ্য খরচটা একটু ‘বেশিই’ হয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে লঙ্কানদের পাঁচ উইকেট তুলে নিতে গিয়ে ২৯ রান দেন অ্যান্ডারসন। তিন উইকেট নেন স্টিভেন ফিন।

ম্যাচ শেষে অ্যান্ডারসনের বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ১০/৪৫! মাত্র ৪৫ রান দিয়ে দশ উইকেট! অ্যান্ডারসন এর আগেও দুইবার ম্যাচে ১০ বা এর চেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন। প্রথমবার ২০১০ সালে নটিংহ্যামে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে নেন ১১ উইকেট। পরে ২০১০ সালে আবার নটিংহ্যামে তার বোলিংয়ে ম্যাচে ১০ উইকেট হারায় পাকিস্তান।

অ্যান্ডারসনের এমন অসাধারণ বোলিংয়ে ইনিংস ও ৮৮ রানে জিতে সিরিজ শুরু করলো ইংল্যান্ড। এই ম্যাচে ইংল্যান্ডের সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছিলো কলকাতায়। যে ম্যাচটি তাদের মুঠো থেকে এক রকম জোর করে বের করে নিয়েছেন কার্লোস ব্রাফেট। টানা চারটি ছয় মেরে ইংল্যান্ডকে স্তব্ধ করে দেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাওয়া আয়েসী এই জয় কি সেই দুঃখে কিছু প্রলেপ দিলো?

আপনি আরো পড়তে পারেন

ধোনির অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে জয় পুনের

স্ত্রী চান, তাই সিপিএল খেলবেন সাকিব!

দলে ফিরতে মরিয়া আফ্রিদি

আবার ভয়াল রূপে কোহলি, এবার ৫০ বলে ১১৩