গোল করলেন, করালেন, পিএসজিকে জেতালেন নেইমার

বড় কোন ক্লাবের নেতা হয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। বার্সেলোনার সঙ্গে পাঁচ বছরের বন্ধন ছিন্ন করে নেইমার সেই কারণেই যোগ দিয়েছেন পিএসজিতে। নেতার মতো খেলছেনও সেই প্রথম ম্যাচ থেকেই। তবে কাল নেতা নেইমারকে দেখা গেল আরো কার্যকরভাবে। পিএসজির আগের ম্যাচগুলোতে দেখা যাচ্ছিল নেইমার দুর্দান্তই খেলছেন, অন্যরাও জয়ে বড় অবদান রাখছেন। কিন্তু পিএসজির কালকের জয়টা বলা যায় নেইমারময়। এক গোল করেছেন, একটি করিয়েছেন। ত্রয়ার বিপক্ষে দলও জিতেছে ২-০ ব্যবধানে।

এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান আরো শক্ত হলো পিএসজির। ১৫ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে যথারীতি পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে নেইমাররা। টেবিলের দুই নম্বরে থাকা মার্সেলের পয়েন্ট ৩১। দশ পয়েন্টের ব্যবধান, লিগ ওয়ানের শিরোপা অনেকটা হয়তো নির্ধারণ হয়েই গেছে!

ত্রয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠেই খেলতে নেমেছিল পিএসজি। নেইমারের নেতৃত্বে শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক ফুটবল খেলে গেছে পিএসজি। ম্যাচে ৬৩ শতাংশ বলের দখল ধরে রেখেছেন নেইমার-কাভানি-ডি মারিয়ারা। কিন্তু গোল আসছিল না। প্রথমার্ধের শেষ ভাগে পেনাল্টি পায় পিএসজি। কিন্তু নেইমারকে রেখে পেনাল্টি নিতে গিয়ে গোল করতে পারেননি এডিনসন কাভানি।

৬৮ মিনিটে নেইমারের দারুণ এক ফ্রি-কিক ঠেকিয়ে দিয়েছেন ত্রয়া গোলরক্ষক সামাসা। তবে ৭৩ মিনিটে নেইমারের জাদুকরি ফুটবলের জবাব দিতে পারেননি সামাসা। বল ধরে ডিফেন্ডারদের এড়িয়ে চলে যান ডি-বক্সের কাছাকাছি। তারপর অচমকা শট, কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষকের। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি।

এই গোলটা পূর্ণ তিন পয়েন্টের নিশ্চয়তা দিচ্ছিল পিএসজিকে। কিন্তু নেইমার হয়তো ভাবলেন, কাভানির পেনাল্টি থেকে গোল না পাওয়ার দুঃখটাও ভোলানো যাক! ম্যাচের শেষ মিনিটে বাঁ-দিক থেকে কাভানিকে যে ক্রসটা দিলেন নেইমার, তারপর গোল না করে কোন উপায় ছিল না কাভানির। জোরালো শটে পিএসজিকে ২-০ গোলে এগিয়ে নেন উরুগুয়ান স্ট্রাইকার। শেষ পর্যন্ত এই ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে পিএসজি।