সেই রিয়ালই আবার খুব করে চাইছে বেলকে

গ্যারেথ বেলকে বিক্রি করার মানসিক প্রস্তুতিটা পর্যন্ত নিয়ে ফেলেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। টটেনহাম হটস্পারে ‘হান্ড্রেড মিলিয়নম্যানে’র ফেরারও খবর বেরিয়েছিল। কিন্তু একটা ম্যাচ বদলে দিয়েছে সবকিছু। রিয়াল মাদ্রিদ-ই এখন ছাড়তে চাইছে না তাকে। এক প্রতিবেদনে খবরটি নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

শনিবার লিভারপুলকে ৩-১ গোলে হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের অবিস্মরণীয় কীর্তি গড়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। স্প্যানিশ ক্লাবটির এই অর্জনের আসল রূপকার ছিলেন বেল। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে মাঠে নেমে একাই ফাইনালের ভাগ্য রিয়ালের পক্ষে গড়ে দিয়েছেল ওয়েলস উইঙ্গার।

সেদিন রিয়ালের তিন গোলের দুটিই করেছেন বেল। তার প্রথম গোলটা তো ফুটবলপ্রেমীদের চোখে লেগে থাকবে অনেক দিন। ম্যাচের শেষ দিকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে লিভারপুলের ফেরার সম্ভাবনাটাও শেষ করে দিয়েছেন তিনি। দুর্দান্ত একটা জয় উপহার দেওয়ার পুরস্কারটা চটজলদি পেয়ে গেলেন বেল। সামনের মৌসুমের জন্যও তাকে রেখে দিতে চায় রিয়াল।

২০১৩ সালে দল-বদলের সব রেকর্ড গুঁড়িয়ে দেন বেল। ১০০ মিলিয়ন ডলার ইউরোতে টটেনহাম থেকে রিয়াল মাদ্রিদে নাম লেখান তিনি। অর্ধ যুগের এই ক্যারিয়ারে ১৪৬ ম্যাচে ৪২টি গোল করেছেন ওয়েলস অধিনায়ক। কিন্তু গেল মৌসুমটা ফর্মহীনতায় ধুঁকতে থাকায় তার ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলেন ক্লাবকর্তারা।

সুযোগ বুঝে বেলকে প্রস্তাব দিয়ে বসেছিল টটেনহাম। স্পার্স কোচ মাওরিসিও পচেত্তিনো মুখ ফুটেও বলেছিলেন বেলকে লন্ডনে ফেরানোর কথা। যদিও এনিয়ে কিছুই বলছিলেন না তিনি। কিয়েভের ফাইনালে জবাব দিয়েছেন আগুন ঝরিয়ে। রিয়ালকে ইউরোপ সেরার ট্রফি এনে দিয়ে বেল ভেঙেছেন নীরবতা। জানালেন রিয়ালেই থাকছেন, সাবেক ক্লাবে ফেরার ইচ্ছে নেই তার।

তবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যু চত্ত্বরে থাকার জন্য রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদানকে একটা আর্জি জানিয়েছেন বেল। বলেছেন, ‘আমি প্রতি সপ্তাহেই খেলতে চাই।’ বেলের মনের বাসনা রিয়ালের ফ্রেঞ্চ কোচ পূরণ করবেন কিনা সেটা জানা যাবে নতুন মৌসুমেই।

সবশেষ চুক্তি অনুসারে বেলের রিয়াল মাদ্রিদে থাকার কথা রয়েছে ২০২২ সাল পর্যন্ত। স্প্যানিশ সরকারকে আয়কর দেওয়ার পরও প্রত্যেক সপ্তাহে ওয়েলস সেনসেশনের পকেটে থাকছে চার লাখ পাউন্ড। স্প্যানিশ গণমাধ্যমের খবর- বেলের পারিশ্রমিক বাড়ানোরও পদক্ষেপ নিয়েছেন ক্লাবকর্তারা।