কেঁদেই ফেললেন নেইমার!

ম্যাচের বয়স তখন ৯৬ মিনিটে, শেষ বাঁজিয়ে দিলেন রেফারি। ব্রাজিল ২-০ গোলে জয়ী। কিন্তু একি নেইমার মাঠের মাঝখানে বসে শিশুর মতো ফুঁফিয়ে কাঁদছেন! মার্সেলো, মিরান্ডারা এগিয়ে এলেন কিন্তু ব্রাজিল পোস্টার বয়ের কান্না যেন থামতেই চাইছে না। ম্যাচের শেষে কুশল বিনিময় যখন চলছে তখনও নেইমারের চোখ লাল! এই কান্নার বড় মানে আছে।

একটুর জন্য যে আজ কোস্টারিকার বিপক্ষেও পয়েন্ট হারাতে বসেছিল ব্রাজিল। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে গোলশূন্য সমতা। কোস্টারিকা যোগ করা কয়েকটা মিনিট এভাবে পার করতে পারলেই গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেওয়ার একটা শঙ্কার মধ্যে পড়তে হতো ব্রাজিলকে। সেই শঙ্কা অনেকটা কেটে গেছে বলেই আনন্দ অশ্রু।

ম্যাচের যোগ করা সময়ের ৯১ মিনিটে কুতিনহো গোল করে এগিয়ে দেন ব্রাজিলকে। ৯৭ মিনিটে ডগলাস কস্তার পাস থেকে গোল করে ব্রাজিলের ২-০ গোলের জয় নিশ্চিত করেন নেইমার। কিন্তু যোগ করা কয়েকটা মিনিট নয়, ব্রাজিল কিন্তু দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে পুরো ম্যাচেই।

প্রথমার্ধে নেইমার ঠিকভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তবে কুতিনহো, মার্সেলোরা দারুণ খেলেছেন। বলের দখল ধরে রেখেছেন, বল কেড়ে নিয়েছেন, পাস ঠেকিয়েছেন আর একের পর এক আক্রমণ করে গেছেন।

দ্বিতীয়ার্ধে নেইমারকে চেনা ছন্দে দেখা গেছে। দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলের অাক্রমণের নেতৃত্ব এসেছে নেইমারের কাছ থেকেই। সব মিলিয়ে সাম্বার ছন্দ, জাগো বানিতোর ছন্দে মাঠে রীতিমতো ফুল ফুটিয়েছে ব্রাজিল। দ্বিতীয়াধের পুরোটা জুড়ে আক্রমণের পর আক্রমণ করে গেছেন নেইমার, কুতিনহো, গ্যাব্রিয়েল জেসুসরা। কিন্তু ভাগ্য পাশে ছিল না।

কখনো কোস্টারিকা গোলরক্ষক কেইলর নাভাস হতাশ করেছেন, কখনো নিজেরা শেষ শটটা ঠিকভাবে নিতে পারেননি, কখনো বা প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে আটকে গেছে ব্রাজিলের গোছালো আক্রমণ। পুরো ম্যাচে লক্ষ্যে ১০টি শট নিয়েছেন ব্রাজিলের ফুটবলাররা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে একটিও জালে জড়েনি।

আশ্চর্যের বিষয় ব্রাজিল গোলরক্ষক অ্যালিসনকে কোস্টারিকার একটি শটও ধরতে হয়নি। ব্রাজিলের গোল লক্ষ্যে একটি শটও নিতে পারেননি কোস্টারিকা ফুটবলাররা। এমন খেলার পরও পয়েন্ট হারাতে বসেছিল ব্রাজিল। ওই শেষ কয়েক মিনিটের ঝলকে ২-০ গোলের জয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্টের নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে। নেইমার তো কাঁদবেনই।