তাহলে কী ‘মেসি হটাও’ দাবি উঠে গেল দলের ভেতরেও!

রাশিয়া বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর আর্জেন্টিনা দলে বড় পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছিলো। কথা মতো কাজ হচ্ছেও। অনেক আগেই প্রধান কোচ হোর্হে সাম্পাওলিকে ছাঁটাই করেছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। আগামী বিশ্বকাপের জন্য দল গড়ে তোলার লক্ষ্যে এএফএ'র একটা অংশ নাকি লিওনেল মেসিকেও ছাঁটাইয়ের পক্ষে! আগামী বিশ্বকাপে মেসির বয়স হবে ৩৫ বছর। ওই বয়সে একজন ফুটবলারের পক্ষে দুর্দান্ত ফুটবল খেলা 'কাকতালীয়'। এমন ভাবনায় মেসিকে ছাড়াই আগামী বিশ্বকাপের জন্য দল গোছানোর চিন্তা আর্জেন্টিনা ফুটবল কর্তাদের একটা অংশের।

এতো গেলো ফুটবল কর্তাদের কথা। এবার জানা গেলো ফেডারেশনের পাশাপাশি দলের ভেতেরও নাকি 'মেসি হটাও' চক্র সক্রিয় হয়ে উঠছে! রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্যর্থ হওয়ার পর লিওনেল মেসির নামে কড়া সমালোচনা করেছেন অনেকে। এই দলে আছেন আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরো। ধারণা করা হচ্ছে এসব সমালোচনার কারণেই আপাতত আর্জেন্টিনার হয়ে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেসি। তবে ঠিক কবে নাগাদ দলে ফিরবেন নাকি অাদৌ ফিরবেন না সেই বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছুই বলেননি।

অর্থাৎ তাকে ছাড়াই গুয়েতমালা ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে নামবে আর্জেন্টিনা। মেসি নেই মানে এই দুই ম্যাচে আর্জেন্টিনার দশ নম্বর জার্সিও স্বাধারণত থাকবে না মাঠে। প্রায় এক যুগ ধরেই আর্জেন্টিনার হয়ে দশ নম্বর জার্সিটা পড়ে খেলছেন মেসি। তবে সার্জিও রোমেরো এই বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। তার মতে, মেসি যেহেতু না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাই অন্য কাউকে দেওয়া উচিত দশ নম্বর জার্সি!

কথাটি যে মেসির জন্য বড্ড নেগিটিভ সেটা সহজেই বুঝা যায়। ফুটবলে জার্সিতে নাম্বারের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনো খেলোয়াড় ইনজুরি, নিষেধাজ্ঞা বা অন্য কোনো কারণে খেলতে না পারলে তার জার্সি পরে কেউ খেলতে দেখা যায় না। সাধারণত অবসর বা দল ছেড়ে না গেলে জার্সির অধিকার ছাড়তে চান না ফুটবলাররা। মেসিকে ছুড়ে ফেলার কথা বোঝাতেই তাহলে বুঝি মেসির জার্সি অন্যকে দিয়ে দেওয়ার কথা বললেন রোমারো!

একদিন পর মেসিকে ছাড়া গুয়েতমালার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে রোমারো বলেন, 'আমি বুঝতে পারছি না কেন এটা (মেসির জার্সি) ব্যবহার করা হবে না। আমি জিজ্ঞেস করিনি। তবে ব্যবহার যে করা হবে সেটা আমার ধারণায় ছিল না। আমার মতে এটা ব্যবহার করা যায়।'

রোমেরোর এই কথা বলার কারণ আবার অন্য কিছু নয় তো! রাশিয়া বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনার স্কোয়াডে ছিল রোমারো নাম। পরে জানানো হয়, চোটের কারণে বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন না রোমারো। কিন্তু এই ঘোষণার কদিন পরই রোমারো স্ত্রী দাবি করে বসেন, সুস্থ তার স্বামী! তবে কি সেই সময় বিশ্বকাপ খেলা না খেলা নিয়ে মেসির সঙ্গে মন কষাকষি হয়েছিল আর্জেন্টিনা গোলরক্ষকের, সুযোগ পেয়ে এখন তার শোধ তোলার চেষ্টা করছেন না তো রোমারো?