নেইমারকে ছাড়াই পিএসজির গোলবন্যা

ইউরোপিয়ান শীর্ষস্থানীয় পাঁচটি ঘরোয়া লিগের তিনটিই জমে উঠেছে নতুন মৌসুমের শুরুতেই। প্রতিযোগিতা তিনটি- ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, জার্মান বুন্দেসলিগা এবং স্প্যানিশ লা লিগা। ব্যতিক্রম বাকি দুই লিগ- ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান এবং ইতালিয়ান সিরি’এ লিগ। দুটি প্রতিযোগিতাতেই কয়েক বছর ধরে আধিপত্য দেখিয়ে চলছে যথাক্রমে পিএসজি এবং জুভেন্টাস।

এই মৌসুমে জুভেন্টাস নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর ধারে কাছে থাকলেও পিএসজি নিজেদের নিয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। শনিবার লিগ ওয়ানে আরো একটা দারুণ জয় তুলে নিয়েছে পিএসজি। নেইমারকে ছাড়াই ঘরের মাঠ প্যার্ক ডু প্রিন্সেসে অ্যামিয়েন্সকে ডেকে এনে বিধ্বস্ত করেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।

পিএসজি জিতেছে ৫-০ গোলে। লিগে এনিয়ে দশ ম্যাচের সবকটিতেই জিতল টমাস টুখেলের দল। শতভাগ জয়ের রেকর্ড ধরে রাখার পাশাপাশি শীর্ষস্থানটা আরো দৃঢ় করে নিয়েছে পিএসজি। ১০ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট তাদের। দুইয়ে থাকা লিঁল তাদের চেয়ে ১১ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে। লিঁল অবশ্য এক ম্যাচ কম খেলেছে।

প্যারিসে পিএসজির পাঁচ গোল করেছেন আলাদা পাঁচজন- মারকুইনহস, আদ্রিয়েন রাবিয়ত, জুলিয়েন ড্রাক্সলার, কিলিয়ান এমবাপ্পে এবং মুসা দিয়াবি। ১২ মিনিটে শুরু হওয়া পিএসজির গোল উৎসব থেমেছে ৮৭ মিনিটে। পিএসজি শেষ তিনটি গোল তো করেছে সাত মিনিটের ব্যবধানে!

পিএসজির বড় জয়ের আসল নায়ক অবশ্য এদের একজনও নন। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। আর্জেন্টাইন উইঙ্গার নিজে গোল না পেলেও সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন দুটি। প্রথমার্ধে পিএসজি যে দুটো গোল করেছে দুটোরই উৎস ছিল ডি মারিয়ার কর্নার কিক।

ডি মারিয়ার কর্নার থেকে গোল পেতে পারতেন এডিনসন কাভানিও। কিন্তু উরুগুয়েন স্ট্রাইকারের দুর্দান্ত হেডটা প্রতিহত করে দিয়েছেন অ্যামিয়েন্সের ফরাসি গোলরক্ষক রেগিস গার্টনার। ম্যাচের বয়স দুই অংক ছোঁয়ার আগে ডি মারিয়াকেও গোলবঞ্চিত করেছিলেন তিনি।

অথচ এমন ম্যাচে নেইমার ছিলেন দর্শক সারিতে। টানা ম্যাচ খেলার ধকল সামলাতে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারকে এদিন বিশ্রাম দিয়েছিলেন পিএসজি কোচ টুখেল। সুযোগ পেয়েই জ্বলে উঠলেন ডি মারিয়া। নেইমারের শূন্যতা বুঝতেই দিলেন না আর্জেন্টাইন তারকা উইঙ্গার।