সু চি : নির্যাতন চলছে না, প্রত্যেকের নিরাপত্তা দেয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব

মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক নেত্রী ও শান্তিতে নোবেল জয়ী অং সান সু চি বলেছেন, 'নানা ধরণের সহিংসতায় জর্জরিত রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রত্যেকের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ কাজ করছে সরকার।' তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত ছবি বলছে, রাখাইনে জাতিগত নিধন এবং ইতিহাসের সবচাইতে বেশি নির্যাতন চলছে।

আজ বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের ভারতীয় টেলিভিশন পার্টনার এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে (এএনআই) দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মিয়ানমারের নেত্রী সু চি এসব মন্তব্য করেন। সু চি রোহিঙ্গা নির্যাতনের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি। সু চি বলেছেন, 'রাখাইনে কোন ধরনের নির্যাতন চলছে না। প্রত্যেক নাগরিকের সেবায় মিয়ানমার প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।'

রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে শুরু থেকেই নিরব ভূমিকায় রয়েছেন সু চি। সীমান্তের নাফ রক্তে লাল হয়েছে রোহিঙ্গাদের রক্তে। বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মুসলমান। সু চি সমালোচনা করছে গোটা বিশ্ব। অভিযোগ আছে, মিয়ানমারে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরণের অত্যাচার নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।

গণতন্ত্রের অগ্নিকন্যা সু চির শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বাতিলের দাবি আসছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। এএনআইকে দেয়া সেই সাক্ষাৎকারে সু চি বলেন, 'আমরা নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। দেশে থাকা প্রত্যেকের নিরাপত্তা দেয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব।'

ইয়াঙ্গুনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় সু চি বলেন, 'আমাদের সম্পদ পর্যাপ্ত নয়। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। প্রত্যেকের আইনের সুরক্ষা পাওয়ার বিষয়টি আমাদের নজরে আছে।'

তরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে তিনি বলেন, 'সরকার রাখাইনের রোহিঙ্গাদের রক্ষায় কাজ করছে। রাখাইনে সহিংসতার বিষয়ে ভূল তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে মূলত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদের স্বার্থেই একটি মহল এসব করছে।'