মরিচের গুঁড়া ও স্টান গ্রেনেড দিয়ে রোহিঙ্গাদের তাড়াচ্ছে ভারত!

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিগত একমাস ধরে চলছে জাতিগত নিধনযজ্ঞ। প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে নির্মমতার শিকার রোহিঙ্গারা। যাদের সিংহভাগই আশ্রয় নিচ্ছে বাংলাদেশে তবে কেউ কেউ ভারতেও আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছেন। তবে রোহিঙ্গাদের প্রবেশ ঠেকাতে কঠোর হচ্ছে ভারত।

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ইতোমধ্যে সমুদ্রসীমা বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। এবার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে মরিচের গুঁড়া ও স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করেছে ভারত। ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে খবরটি জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর এক কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের গুরুতর আহত কিংবা গ্রেপ্তার করতে চাই না। কিন্তু রোহিঙ্গাদের কোনভাবেই ভারতের মাটিতে সহ্য করা হবে না।'

জানা গেছে, এই স্টান গ্রেনেড মূলত দলবদ্ধদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যবহার করা হয়। এই গ্রেনেডের শব্দ এবং আলোর ঝলকানি মানুষকে অচেতন করে ফেলে। কিন্তু শারীরিক কোন ক্ষতি হয় না। অন্যদিকে মরিচের গুঁড়ার গ্রেনেড ব্যবহারে শরীরে জ্বালাপোড়া হয়। আক্রান্ত ব্যক্তি সাময়িকভাবে জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারেন।

বিএসএফ-এর ওই কর্মকর্তা জানান, আমরা ভারতে প্রবেশে অনুপ্রবেশকারী কয়েকশত রোহিঙ্গাকে তাড়িয়ে দিয়েছি। এতে আমরা মরিচের গুঁড়ার গ্রেনেড ব্যবহার করছি। কোনভাবেই তাদের ভারতের মাটিতে প্রবেশ করতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বিএসএফ-এর উপ-মহাপরিদর্শক আর. পি. এস জসওয়াল মূলত বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে টহল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের ভারতে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তরক্ষীরা মরিচের গুঁড়ার গ্রেনেড ও স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করছে। এতে ভালো ফলও পাওয়া যাচ্ছে।

রোহিঙ্গা সংকটের শুরুতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সমুদ্রসীমা বন্ধ করে দেয় ভারত। ভারতের একজন কর্মকর্তা বলেন, 'সমুদ্রসীমা রক্ষায় ভারতীয় বাহিনী তৎপর। অত্যাধুনিক 'ডর্নিয়ার' মেরিটাইম পেট্রোল উড়োজাহাজ, হোভারক্রাফট এবং জাহাজ টহলের ব্যবস্থা আরো সক্রিয় করা হয়েছে।' ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এক বিবৃতিতেক বলেছেন, 'ভারতে আশ্রিত রোহিঙ্গারা শরণার্থী নয়, তারা অবৈধ অভিবাসী। সেই সংখ্যাটা আমরা বাড়াতে চাই না।'