২৪ ঘন্টার ব্যবধানে আরেক সৌদি যুবরাজ নিহত

সৌদি আরবের সাবেক যুবরাজ মানসুর বিন মুকরিন হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহতের চব্বিশ ঘন্টা যেতে না যেতেই আরেক যুবরাজ আব্দুল আজিজের মত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আব্দুল আজিজ সাবেক বাদশাহ ফাহাদের পুত্র।

যুবরাজ আজিজের মৃত্যুর খবরটি নিয়ে এখনও পরিষ্কার করে কিছু জানা যায়নি। তবে সূত্রের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম। দ্যা আল-মাসদার নিউজ নেটওয়ার্ক প্রথমে যুবরাজের মৃত্যুর খবরটি প্রকাশ করলেও পরে সেটি মুছে ফেলেছে তারা। সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমস এক প্রতিবেদনে উল্ল‌েখ করেছে, গ্রেপ্তার এড়াতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন তিনি।

এদিকে সাবেক এফবিআইয়ের বিশেষ এজেন্ট আলি এইচ সোফান এক টুইট বার্তায় বলেছেন, 'আব্দুল আজিজের নিশ্চিত মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স ছিল ৪৪ বছর। এর আগে সৌদি যুবরাজ মুকরিনও নিহত হয়েছিলেন।' তবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু উল্লেখ করেননি সাবেক এই এফবিআই এজেন্ট।

সংবাদ মাধ্যম ডুরানও এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, যুবরাজ আব্দুল আজিজ গ্রেপ্তারের চেষ্টার সময় নিহত হয়েছেন। সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সৌদি সিটি পরিষ্কারের অংশ হিসেবে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হয় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

জানা যায়, যুবরাজ আজিজ সৌদি ওগার লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির সাথে গভীরভাবে জড়িত ছিলেন। যেটির হরিরি পরিবারের মালিকানাধীন এবং এই বছরে কোম্পানিটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সাবেক লেবানলের প্রধানমন্ত্রী সাদ হরিরি কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই কোম্পানির দ্বায়িত্বে ছিলেন।

উল্লেখ্য দুর্নীতির অভিযোগ এনে শনিবার সন্ধ্যায় ১৭ রাজকুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর একদিন পর সৌদি আরবের সাবেক যুবরাজ মানসুর বিন মুকরিন হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। রোববার ইয়েমেনের সীমান্তসংলগ্ন আসির প্রদেশ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও নিহত হয়েছেন। এর পরেই নিহত হয়েছেন যুবরাজ আব্দুল আজিজ।

দুই যুবরাজের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো থেকে বিভিন্ন মন্তব্য আসতে শুরু করে। সৌদি রাজ পরিবারের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার লড়াই দ্বন্দ্বের কারণে এসব গ্রেপ্তার ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে বলেও দাবি করেছেন অনেকেই।